শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর বাড়ির মসজিদের পুনঃনির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আরবি শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণায়ন নির্দেশিকা করতে ইফাবাকে তাগিদ ভারতীয় মুসলমানদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে : মুহিব খান ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিচারকদের ভয় দেখানো হতো’ একজন পাকিস্তানিরও ক্ষতি হলে ভয়াবহ পরিণাম হবে: খাজা আসিফ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আসছেন না পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে পর্যটক হত্যার দায়ভার কি ভারত এড়াতে পারে? আ. লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে : আমিরে মজলিস জর্ডানে নিষিদ্ধ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড  নারী সংস্কার কমিশনের ইসলামফোবিয়া নিয়ে জাতীয় সেমিনার ৩০ এপ্রিল

যারা আমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আল্লাহ সবাইকে যেন সুরক্ষিত রাখেন : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ কারও সঙ্গে আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করতে যাবে না। তবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুতি থাকতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সশস্ত্র বাহিনীকে দেশ রক্ষার প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনোভাবে দেশকে রক্ষা করা, বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে করতে যাবো না, কিন্তু আক্রান্ত হলে যেন নিজেদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি, সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সেভাবেই লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, সরকারে আসার পর প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে আমরা গড়ে তুলছি সেভাবেই। যাতে সশস্ত্র বাহিনী উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, সেভাবে কাজ করছি। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি, বরং ক্যু হয়েছে। বিমান বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছিল।

নিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষই আমার প্রাণশক্তি। যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখন মানুষই আমার পাশে ছিলেন। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আমাকে শেষ করতে আর গুলি বোমা লাগবে না। আমরা জনগণের জন্যই রাজনীতি করি। নিরাপত্তার জন্য যাতে জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যেতে হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে এসএসএফকে পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ করুণা করে না, সবাই মর্যাদা দেয়। আমরা দেশে-বিদেশে যে মর্যাদা পেয়েছি, তা ধরে রাখতে হবে।

দেশে খাদ্যদ্রব্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তবে যতক্ষণ আমার নিঃশ্বাস আছে, লক্ষ্য একটাই মানুষের জীবন উন্নত করা।

এসএসএফের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যারা আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, তাদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। যারা আমার নিরাপত্তায় থাকে, তাদের জন্য চিন্তিত থাকি আমি নিজেও। কারণ আমার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে আমাকে রক্ষা করেছেন। আমি দোয়া করি, যারা আমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আল্লাহ সবাইকে যেন সুরক্ষিত রাখেন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ