মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলা মামলায় ৩৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
আজ (সোমবার) তিনজন সাক্ষীর জেরার পর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন। এর আগে এই মামলায় ৩৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরার পর রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। অপর প্রসিকিউটররাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন, আর রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মামলাটি শুরু হয় গত ১০ জুলাই, যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একপর্যায়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রুভার) রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেন এবং তা ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য মামলাটি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত অভিযোগের বিচার কাজ দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
এমএইচ/