বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি আইন চালু হলে অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে হবে না: মুজিবুর রহমান পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যৌন হয়রানি: নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন ৯ জেলায় জনবল নিয়োগ দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ  ‘আমেরিকা কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’, জোহরান মামদানির জয়ে ট্রাম্পের প্রথম প্রতিক্রিয়া চব্বিশের যুবশক্তিকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই মাসনা মাদরাসার  বার্ষিক মাহফিল—আত্মশুদ্ধি ও রূহানিয়্যাতের মহামিলন সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ

‘ভারতে মুসলমানদের অর্থনৈতিক দুর্বল করতে ওয়াক্ফ বিল তৈরি করেছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল-২০২৪ পাস করে মুসলমানদের মালিকানার ভূ-সম্পত্তি দখলের চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই বিল পাসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

আজ দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় দলটি।

বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল সম্প্রতি লোকসভায় পাস হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, অমুসলিমদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, কোন সম্পত্তি ওয়াকফ বলে বিবেচিত হবে, কোনটা হবে না সরকারকে তা নির্ধারণের এখতিয়ার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ আল্লাহর জন্য উৎসর্গকৃত এই সম্পদগুলোর পরিচালনা ও ভোগের একমাত্র হকদার মুসলিম জনগোষ্ঠী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওয়াকফ বিল পাসের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ওয়াকফ আইনকে দুর্বল করে দেওয়া এবং ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করা। 

খেলাফত মজলিসের আমীর ও মহাসচিব বলেন, এই আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের মর্যাদাহানি ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে। এই আইন পাশ মুসলামনদের ধর্মীয় স্বকীয়তা তথা ইসলাম ধর্মের উপরও প্রচণ্ড আঘাত। আমরা ভারত সরকারকে এই সংশোধনী বিলটি অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানাই।

সম্পত্তিগুলো কুক্ষিগত করার পায়তারা হচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ভারতের ওয়াকফ বোর্ডগুলোর অধীনে ৯ লাখ ৪০ হাজার একর জমি রয়েছে, যা ৬/৭শত বছর পূর্ব থেকে মুসলমানদের জন্য ওয়াকফকৃত। এসবে যথাযথ কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া এখন দুষ্কর। কোন কোন সম্পত্তি মৌখিকভাবেই আল্লাহর জন্য ওয়াক্ফ করা হয়েছিল। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সম্পত্তিগুলো কুক্ষিগত করার সুযোগ খোঁজা হচ্ছে ওয়াকফ বিল পাশের মাধ্যমে। 

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ