বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ১৬ জুন কেবল অতীতের একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিন নয়, এটি বর্তমান ফ্যাসিবাদের দোসরদের মুখোশ উন্মোচনের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে শেখ মুজিবের বাকশালী সরকার রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করে সকল স্বাধীন সংবাদপত্র বন্ধ করে জাতিকে স্তব্ধ করে দেয়। একই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নির্মমভাবে দমন করেছে।
আজ (সোমবার) বাংলাদেশ লেবার পার্টির দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, খুনী হাসিনার সরকারের সময় গুম, খুন, নির্যাতন, গনহত্যা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। আর এর বড় সহযাত্রী ছিল মিডিয়ায় অবস্থান নেওয়া কিছু দালাল মালিক ও সুবিধাভোগী সাংবাদিক। তারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সত্যকে মিথ্যা, প্রতিবাদকে ষড়যন্ত্র এবং বিরোধী মতকে রাষ্ট্রদ্রোহে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, জাতিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার এই মিডিয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণের জাগরণ শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে। হাজারো ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে শুধু ভোটাধিকার নয়, বাক-স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও গণমাধ্যমের মুক্তি দাবি করেছিল। শহীদ হয়েছেন আউয়াল মিয়া, নাঈম হাওলাদারসহ অনেকে— তাদের রক্তে লেখা হয়েছে স্বাধীন সাংবাদিকতার নতুন ভিত্তি।
ডা. ইরান আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়েছে, দমন-পীড়নের পাহাড়ও ভেঙে ফেলা যায় যদি জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়। সেই অভ্যুত্থান ছিল ইনসাফের রাষ্ট্র গঠনের প্রাকঘোষণা, যেখানে কথা বলার অধিকার জন্মগত, দমন করার নয়।
বাংলাদেশ লেবার পার্টি প্রতিবছর ১৬ জুনকে “সংবাদপত্রের কালো দিবস” হিসেবে পালন করে। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাকস্বাধীনতা, চিন্তার অধিকার ও সত্য সংবাদপত্র সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
এমএইচ/