বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন, কেক না কাটার নির্দেশ উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা রাজনীতি করবেন তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ: আসিফ মাহমুদ ১৫ আগস্ট ঘিরে ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করলো পুলিশ ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত অন্তত ১৫ ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিশ্চিতে সতর্ক থাকতে হবে : শামসুজ্জামান দুদু যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধ, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আশুলিয়ায় বেতন দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ রাতভর অভিযানে সাদাপাথরে ফেরানো হলো ১২ হাজার ঘনফুট জব্দকৃত পাথর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অনুমোদনবিহীন কর্মসূচিতে আইনি ব্যবস্থা দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চলে যাওয়ার দুই বছর


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ, মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৩ সালের এই দিনে (১৪ আগস্ট) ঢাকার তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

আল্লামা সাঈদী ছিলেন এমন এক আলেম, যিনি গত পাঁচ দশক ধরে দেশ-বিদেশে কোরআনের ভাষ্য তুলে ধরেছেন এক ভিন্ন ও প্রাঞ্জল ঢংয়ে। তার সুললিত কণ্ঠ, সাহিত্যসম্মত উচ্চারণ, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণভিত্তিক তাফসির এবং ইসলামি সমাজ বিনির্মাণের আহ্বানে লাখো মানুষ হয়ে উঠেছিল তার অনুগামি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে তাকে আওয়ামী লীগ সরকার দণ্ডিত করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৪০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার সাঈদখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ। প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা শেষে ১৯৬৪ সালে তিনি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এরপর পাঁচ বছর নানা বিষয়ের ওপর গভীর গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।

১৯৬০ সালে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার চার ছেলে, রাফীক, শামীম, মাসুদ ও নাসিম—সকলেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজসেবায় যুক্ত ছিলেন বা আছেন।

আল্লামা সাঈদী ১৯৬৭ সাল থেকে ‘দাঈ ইলাল্লাহ’ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি পৃথিবীর ৫২টি দেশ ভ্রমণ করে কোরআনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

তার তাফসির মাহফিলগুলোতে লাখো মানুষ জমায়েত হতো। চট্টগ্রাম প্যারেড গ্রাউন্ডে তার বাৎসরিক পাঁচ দিনের মাহফিলে দুইবার কাবা শরীফের ইমামও উপস্থিত ছিলেন। সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, কুমিল্লা, ঢাকা—দেশজুড়ে তার মাহফিল ছিল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

আল্লামা সাঈদী ছিলেন একজন সুলেখক ও গবেষক। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা ৭৭টিরও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে ‘তাফসিরে সাঈদী’, ‘সীরাতে সাইয়্যেদুল মুরসালিন’, ‘কোরআনের দৃষ্টিতে মহাকাশ ও বিজ্ঞান’, ‘কাদিয়ানীরা কেন মুসলিম নয়’, ‘ইসলামে শ্রমিকের অধিকার’ প্রভৃতি। তার রচিত কিছু গ্রন্থ বিদেশেও অনূদিত হয়েছে।

১৯৭৯ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত দলটির নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর দু’বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ