শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ডাকসুতে ছাত্রদলের পরাজয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক ভূমিকা দায়ী: আব্দুর রব ইউসুফী 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ফলাফল হিসাবে জামাত শিবির প্যানেল বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। 

একসময় যে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল অপ্রতিরোধ্য, ৮৯ তে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সফলতা এসেছিল যাদের আপোষহীন অবস্হানের কারণে,  সেই ছাত্রদলের এমন পরাজয় কাম্য ছিল না। অপর দিকে ইসলামি আন্দোলনের ছাত্র সংগঠনও আলাদা প্যানেল দিয়েছিল, এতদ্সত্ত্বেও ছাত্র শিবির বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। বলা যেতে পারে, জামাত কোন ইসলামি সংগঠনের সহযোগিতা ব্যতীতই বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। 

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, প্রাজ্ঞ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এসব কথা বলেন।

ডাকসু নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে কিনা-এবিষয়ে  তিনি লিখেন,অবশ্য একটা ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে বিরাট প্রভাব ফেলবে, তা নয়,। নাহলে তো জামায়াত এককভাবেই  জাতীয় নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে বলা যেত কিন্তু একথা কেউ বলবে না। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে, এর কোনই প্রভাব ফেলবে না তাও ঠিক নয়। এখানে শিবিরের জনশক্তি বড় ফ্যাক্টর ছিল তা নয়, বরং জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের টেকনিক এবং ছাত্রদলের আচার-আচরণ, এমনকি বিএনপির সাম্প্রতিক কালের ভূমিকা এরজন্য অনেকটা দায়ী।

তিনি আরো বলেন,এখানে পজিটিভের চাইতেও নেগেটিভ মানসিকতা কাজ করেছে বেশী। বিশেষভাবে ছাত্রীদের সমর্থনটা ছিল উল্লেখযোগ্য। যেখানে আধুনিক মেয়েরা ইসলামের নাম শুনলে নাক ছিটকায়, সেখানে ছাত্রদলের বিপরীতে ছাত্রশিবিরকে ভোট দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। জামায়াত আমীরের মেয়েদের পর্দা ব্যবস্থার ব্যাপারে যে বক্তব্যটা ছিল তাও কিছুটা কাজ করেছে বলে মনে হয়। যদিও এটা  ইসলামি বক্তব্য ছিল না, ছিল রাজনৈতিক বক্তব্য। এখানে এটাও একটা ম্যাসেজ যে, জামায়াত রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য যেকোন বক্তব্য বা টেকনিক অবলম্বন করতে পারে, সেটা ইসলামের পক্ষে হোক বা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হোক। যেহেতু তাদের মূল টার্গেট হল ক্ষমতা। তাদের টেকনিক কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যেই কিছু ইসলামি ঘরানার দলকে কাছে টানতে সক্ষম হয়েছে। 

ডাকসু নির্বাচন থেকে বিএনপিকে শিক্ষা গ্রহণ করার উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন, তবে এ নির্বাচন থেকে বিএনপির কাছে একটা শক্তিশালী ম্যাসেজ গেছে যে, যদি দলীয় নেতাকর্মীদের চারিত্রিক উন্নতি না করতে পারে, সেক্যুলার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূখ ফিরিয়ে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি উদারভাবে গ্রহণ না করে, তাহলে  এর পরিণতি হতে পারে  ভয়াবহ। দলের কিছু নেতার ইসলাম ও শরিয়ত সম্পর্কে কিছু বক্তব্য ইসলামি দলসমূহকে বিএনপি থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে।

মূলত, জামাতের মূল স্পীড থেকে ইসলাম অনেক দূরে কিন্তু তাদের ইসলামি ট্যাগ এখানে বিরাট ভূমিকা রাখছে, যা থেকে বিএনপি অনেক দূরে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ