শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

নাদিয়ার বক্তব্যে স্যোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Nadiya-Hussain-1আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চিজের প্রতি অন্ধ ভালবাসা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাদিয়া হোসেনের। সিলেটি পিতামাতার এই সন্তান দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে অকপটে স্বীকার করেছেন তার শৈশবের সব কিছু। তিনি বলেছেন, আমি বেড়ে উঠেছি লুটনে। আমাদেরকে সব সময়ই খাবার খেতে হতো মেঝেতে কাপড় বিছিয়ে তার ওপর। ছিল না টিভি দেখার অনুমতি। বাংলাদেশে (ডাইনিংয়ে) কোন চেয়ার ছিল না। আমার পিতা এই রীতি ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। এ জন্য কখনোই আমাদের ডাইনিং টেবিল ছিল না। ভাত ছিল আমাদের প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশী রীতি অনুযায়ী প্রতি রাতের খাবারে ভাতের সঙ্গে থাকতো সাত বা আট রকমের তরকারি। আমরা গোল হয়ে খেতে বসতাম। গ্যাস হিটারটা আমার কাছাকাছি থাকতো তখন। কারণ, আমি সব সময়ই ঠাণ্ডায় কাবু।

সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‌বাংলাদেশে ডাইনিং নেই, চেয়ার নেই নাদিয়ার এমন বক্তব্যে সামাজিক মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল, ডেইলি অ্যান্ড সানডে এক্সপ্রেস রিপোর্ট করেছে। এতে বলা হয়েছে, ওই সাক্ষাতকারে নাদিয়া বলেছেন, বাংলাদেশে (ডাইনিংয়ে) কোন চেয়ার নেই। বাবা এই প্রথাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য আমাদের কখনও ডাইনিং টেবিল ছিল না। তাছাড়া ডেজার্টের ধারনাটি বাংলাদেশী কুইজিনে নেই। চিজের প্রতি আমার অন্ধ ভক্তি রয়েছে। কিন্তু আমার মা কখনও তা কেনেনি। কারণ, বাংলাদেশী কুইজিনে তা নেই। এর ফলে বাংলাদেশী বা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ফেসবুকে নামিরা হোসেন নামে একজন জবাবে লিখেছেন, বাংলাদেশে অবশ্যই চেয়ার আছে। আছে ডেজার্ট। আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে আমরা চিজকে পনির বলে থাকি। ফারাশা খান সাঈদ লিখেছেন, তার বিবৃতি বাংলাদেশকে ছোট করেছে। বাংলাদেশীদের ডেজার্ট আছে। এর মধ্যে রয়েছে দই, ফিরনি, নানা রকম মিষ্টি। আমাদের নিজস্ব ধরনের চিজ আছে। এগুলো সুইস চিজের মতোই। তিনি অবশ্যই তার নিজস্ব শৈশব নিয়ে কথা বলছেন। ফারহানা রহমান নামে একজন নাদিয়া হোসেনকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, কথা বলার আগে আপনাকে বাংলাদেশের কুইজিন নিয়ে কিছুটা গবেষণা করা উচিত। বাংলাদেশে নানা রকম ডেজার্ট আছে। অবশ্যই এখানকার মানুষের ডাইনিংয়ে চেয়ার আছে।

দ্য গার্ডিয়ান তার ওই সাক্ষাতকারটি প্রকাশ করেছে ১৯ জুন। এতে তিনি আরও অনেক কথা বলেছেন। বলেছেন, তার পিতার ছিল একটি ভারতীয় রেস্তোরা। এর শেফ ছিলেন তিনিই। কাজ শেষে সব সরঞ্জাম বাসায় নিয়ে যেতেন তার পিতা। তার মধ্যে ছিল গ্যাজেট, উইজেট ও মিক্সার তৈরি করার বড় সব মেশিন। তিনি তৈরি করতেন অ্যাঙ্গলিসাইজ কারি। কিন্তু তার মা প্রথা অনুযায়ী রান্না করতেন সব সাধারণ খাবার। তার মা কখনো বেশি খাবার রান্না করতেন না, যদিও প্রতি শুক্রবার তার পিতা একটি আস্ত ভেড়া কিনে নিতেন।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টেফোর / ওএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ