রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই

বেশি ভোট পেয়েছেন হিলারি, কিন্তু নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hillary-trump-doh1আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রে যদি সবচেয়ে বেশি প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম থাকতো, তাহলে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন হিলারি ক্লিনটন।

কারণ নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। হিলারি দুই লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন।

তা সত্ত্বেও দেশটির নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই তিনি হেরে গেছেন।

নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন মোট ভোট পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৫ ভোট। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ভোট।

 

কিন্তু ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৯টি, আর হিলারির পক্ষে গেছে ২২৮টি। মূলত এসব ভোটের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৩৮জন ইলেক্টোরাল বা নির্বাচককে নিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ হয়। একেকটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে সেখানে ইলেক্টোরাল সংখ্যা থাকে। ভোটাররা যখন ভোট দেন, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হিলারি ক্লিনটন বা অন্য কাউকে ভোট দিলেও আসলে একেকজন ইলেক্টোরালকে বাছাই করেন।

হিলারি ক্লিনটনের নারী সমর্থকরাডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় হিলারি ক্লিনটনের অনেক নারী সমর্থককে হতবাক করেছে

নেব্রাস্কা আর মেইন অঙ্গরাজ্য ছাড়া বাকি সব রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পান, তাকে ওই রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল ভোট দিয়ে দেয়া হয়। তবে ওই দুইটি রাজ্যে প্রার্থীদের পাওয়া সংখ্যা অনুযায়ী বাকি ভোট ভাগ হয়।

এ কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট কিছুটা কম হলেও, তার ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা হয়েছে বেশি। কারণ তিনি এমন অনেকগুলো রাজ্যে ভালো করেছেন, যেখানকার সব ইলেক্টোরাল ভোট তার পক্ষেই যোগ হয়েছে।

তবে এবারই প্রথম নয়। এ নিয়ে পঞ্চম বার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এরকম ঘটনা ঘটলো।

সর্বশেষ একই ঘটনা ঘটেছিল ২০০০ সালের নির্বাচনে। সেবার ডেমোক্রেট প্রার্থী আল গোর পেয়েছিলেন ৫ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ৮১০ ভোট। কিন্তু তার চেয়ে প্রায় ছয় লাখ কম ভোট পেয়েও রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মোট ভোট ছিল ৫ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি।

ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির ভোটাভুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক আছে। কয়েক দফায় এটি বাতিলের জন্য কংগ্রেসে তোলাও হয়েছিল। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে প্রতিবারই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গেছে।

সূত্র: বিবিসি

এফএফ

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ