বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ. লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে: হাসনাত জুলাই গণহত্যা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন সরকারের মধ্যস্থতায় হামিদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে: নুর আ. লীগের বিচারে সরকারের নতুন উদ্যোগ, জানালেন উপদেষ্টা স্কুলে নৈতিক শিক্ষা ছোট থেকেই দেয়া উচিত : মাসউদুল কাদির সিলেটে খেলার মাঠ নিয়ে বিএসএফ-স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে উপহার দিল জামায়াত আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আলেমবিদ্বেষী বক্তব্যে ফটিকছড়িতে উমামা ফাতেমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা সমমনা ইসলামী জোটের বৈঠকে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগ মামলায় ২৯ ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের বহুল আলোচিত ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদনে ২৯ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। এতে ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের বিরোধের কারণেই এই নাশকতা চালানো হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়ায় সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে গত বুধবার প্রতিবেদন দাখিল করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ছাত্রাবাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলার সাক্ষীদের মৌখিক সাক্ষ্য, ভিডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র, জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় প্রমাণিত হয় যে, ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের বিরোধের কারণেই সংঘটিত হয়।

প্রথমে ছাত্রলীগকর্মী উজ্জ্বল আহমদকে ছাত্র শিবিরের কর্মীরা গুরুতর জখম করায় তাৎক্ষণিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ আলী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পোড়ানোর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ২৯ জনের সংশ্লিতার প্রমাণ পেয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ছাত্রাবাসে আগুন দিতে গ্যালনে করে পেট্রোল ব্যবহার করা হয়। পরে ছাত্রাবাস কক্ষ লুটপাটও হয়। একজন সাক্ষীর ভাষ্য, ছাত্রাবাস যখন আগুনে পুড়ছিল, তখন রামদা উঁচিয়ে মিছিল করেছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

তারা ছাত্রলীগের সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করে ছাত্রাবাস ফটকে। এসময় পুলিশ সামনে উপস্থিত থাকলেও নীরব ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বহুল আলোচিত এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে।

এরপর সিআইডি ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে প্রথমবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট ফের আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইড। ওই প্রতিবেদনও আদালত প্রত্যাখ্যান করে। এবার পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তেও অপরাধীরা চিহ্নিত হয়নি। সর্বশেষ গত ৩১ মে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সারাবন তহুরা।

উল্লেখ্য, ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জের ধরে ২০১২ সালের ৮ জুলাই এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন দেয়া হয়।আগুনে ৪২টি কক্ষ পুড়ে যাওয়া ছাড়াও লুটপাট হয় ছাত্রাবাস।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ