সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬


তাবলিগ সাথীদের কাকরাইলের ১১ নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসমাঈল আযহার: এবাবের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ নিয়েছেন ধর্ম প্রাণমানুষ, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং সাধারণ মুসল্লিরা!। বিদেশি তাবলিগ সাথিদের অংশগ্রহণও ছিল । বরাবরের মতোই  সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের ইজতেমা।

ইজতেমা হয়েছে বেশকিছু ‍দিন হল। তাবলিগি সাথিরা ইজতেমা থেকে হেদায়েত নিয়ে ছড়িয়ে পরেছেন দেশের নানা প্রান্তে।ইজতেমায় দেশ-বিদেশের  মুরুব্বিরা আগামী একটি বছরের দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

সম্প্রতি সারাদেশের তাবলিগি সাথীরা কীভাবে চলবে, কী করবে, তাদের কাজ কী হবে, এ ব্যাপারে কাকরাইল থেকে একটি বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কাকরাইলের আহলে শুরা, তাবলিগের বিশিষ্ট মুরব্বি মাওলানা রবিউল হক সাক্ষরিত মাদরাসা উলুমি দ্বীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।  কাকরাইলের পাঠানো  ১১টি নির্দেশনা হুবহু উল্লেখ করা হল।

১. আগামী টংগী ইজতেমার প্রথমভাগ ১০, ১১ ও ১২ই জানুয়ারি ও দ্বিতীয়ভাগ ১৭, ১৮ ও ১৯ই জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে এবং তিন চিল্লাওয়ালা সাথিদের ৫ দিনের জোড় ২ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ইন্শাআল্লাহ।

২. টংগী ইজতেমা থেকে যে সমস্ত দেশি ও বিদেশি জামাত আপনাদের জেলায় পৌঁছেছে, তাদের মোনাসেব সাথীদের দ্বারা নুসরতের ইন্তেজাম করে কাজ শিখানোর চেষ্টা করা। ইজতেমা থেকে যেসব ভাইদের বের হবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কোন কারণে বের হতে পারেননি, তাদের কাছে আবার উসুলী গাশ্ত করে বের করার চেষ্টা করা।

তাছাড়া যে সব ভাইয়েরা ইজতেমায় এসেছিলেন চাহে শুধু দোয়ার জন্য হলেও, তাদের মসজিদের আমালে জোড়ায়ে ধীরে ধীরে ৩ দিন, ১ চিল্লা, ৩ চিল্লার জন্য বের করার চেষ্টা করা। আপনাদের জেলা, থানা বা ইউনিয়ন থেকে যেসব ভাইয়েরা আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছেন, তাদের বাড়ী ঘরের নুসরতের ইন্তেজাম করা।

৩. টংগী ইজতেমা উছিলায় সারা দেশে সব তবকার মধ্যে দ্বীনি যে আছরাত (প্রভাব) কায়েম হয়েছে, তা স্থায়ীভবে ধরে রাখার জন্য কাম করনেওয়ালা সাথিরা মহল্লার মসজিদ থেকে জামাত বানিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার তরতীব করা এবং প্রত্যেক সাথি নিজ মসজিদে হযরত মাওলানা এনামুল হাসান সাহেব র. এর বাতানো তরতীব অনুসারে ৫ কাজের এহতেমাম করা বহুত জরুরি।

৪. যে সমস্ত ৪ মাসের বাহির মূলকে/বিদেশে জামাত ও ২ মাসের মাস্তুরাতসহ জামাত এর তৈয়ার বা বুনিয়াদ হয়েছে তা অতিস্বত্তর ছোয়াদ করে আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্টা করা।

৫. প্রতিটি মসজিদে মোকামী কাম মজবুত করার জন্য ক. ( হালকার মাসিক জোড়) খ. রোজানা আড়াই থেকে আট ঘন্টার মেহনতের সাথী বাড়ানো) গ. রোজানা সময় দেনেওয়ালা সাথিদের নতুন পুরাতন মিলিয়ে ২/৩ জন করে ছোট ছোট জামাত বানিয়ে মহল্লার গলি গলি/ ঘর ঘর মেহ্নত করা) ঘ. ২/৩ জন পুরাতন সাথী ও ৮/১০ জন নতুন সাথীদের নিয়ে প্রতি মাসে ৩ দিন ও প্রতি ৩য় মাসে মাস্তুরাতসহ ৩ দিন সময় লাগানোর এহতেমাম করা জরুরী।

৬. নিজ নিজ জিলা/ ঢাকার শহরে বিভিন্ন তব্কা যথা বিচারক, সরকারী চাকুরিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, ছাত্র, গুরাবা ও বধির ভাইদের জোড় করে অথবা গাশ্তের জড়িয়ায় তাদের জেহেন সাফ করা ও এই মহান দাওয়াতের কাজের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করা।

৭. এস.এস.সি ও দাখিল পরিক্ষার্থী ভাইদেরকে পুরান সাথি ও অভিভাবকসহ আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্টা করা।

৮. মাদ্রাসা মেহনতের জামাত বানানোর জন্য ওলামা হাযরত ও মোনাসেব সাথিরা আগামী ২ মার্চ শনিবার কাকরাইলে পাঠানোর এহতেমাম করা।

৯. হজ্ব মেহনতের জামাত বানানোর জন্য মোনাসেব সাথিদের তৈয়ার করে আগামী ২ মার্চ শনিবার সকাল ৯.০০ টার মধ্যে কাকরাইলে পাঠানোর এহতেমাম করলে ভালো হয়।

১০. শুরায় নজমের মাতাহাতে ওলামা হযরতগণের ৪ সপ্তাহের বারীতে কাকরাইলের বিভিন্ন ১) আগামী টংগী ইজ্তেমার প্রথমভাগ ১০, ১১ ও ১২ই জানুয়ারী ও দ্বিতীয়ভাগ ১৭, ১৮ ও ১৯ই জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে এবং তিন চিল্লাওয়ালা সাথীদের ৫দিনের জোড় ২৯শে নভেম্বর থেকে ৩ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ইন্শাআল্লাহ।

১০. শুরাই নজমের মাতাহাতে ওলামা হাযরাতগণের ৪ সপ্তাহের বারীতে কাকরাইলের বিভিন্ন নজমের জন্য মোনাসেব সাথী পাঠানোর চেষ্টা করা এবং মাস্তুরাতের নজমের জন্য কাম করনেওয়ালী মাস্তুরাত মাহারাম সহ পাঠানের চেষ্টা করলে ভাল হয়।

১১. এ বছর প্রথম ত্রিমাসিক মাশওয়ারা ইন্শাআল্লাহ্ আগামী ২৯ ও ৩০ শে মার্চ শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

আইএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ