শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

যেসব কারণে জোড়া লাগা জমজ শিশুর জন্ম হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাজিদ নুর সুমন
আওয়ার ইসলাম

মহান আল্লাহ তা‘আলা সুনিপুন করে সুন্দর আকৃতিতে মনোরম কাঠামোতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আধুনিক বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন গবেষণা করে আল্লাহর সৃষ্টির গূঢ় রহস্য উদঘাটন করে চলেছে। এই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আবশ্যক।

মহান আল্লাহ বলেন, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ! তোমরা গবেষণা ও শিক্ষা গ্রহণ কর’ (হাশর ৫৯/২)। যুগে যুগে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে মানুষ সৃষ্টির চেয়ে মহাকাশ সৃষ্টিকে অতীব বিস্ময়কর মনে করেছেন। দিন দিন নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কারে বিস্মিত হয়েছেন।

আমরা তার কতটুুক জানি? মাঝে মধ্যেই শোনা যায়, বুক জোড়া লাগা কিংবা মাথা জোড়া লাগা জমজ শিশু জন্মগ্রহণের খবর। যা বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে।

এটি একটি বিশেষ ধরনের সমস্যা, যেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ক্রানিওপেগাস। এই জটিল সমস্যাতে শিশুরা তাদের খুলি এবং মগজ শেয়ার করে থাকে একে অপরের সঙ্গে।

ফলে জাডোন এবং অ্যানিয়াস নামক এই যমজ শিশু দুটি জন্মের পর থেকেই শুরু হয় বেঁচে থাকার মরণ পণ লড়াই। শরীরের বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের জোড়া লাগা মস্তিস্কের আকার বাড়তে থাকে। চিকিৎসকরা ঝুঁকি নেন বিরলতম অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু দুটির মাথা আলাদা করার। কারণ এ ধরনের ক্ষেত্রে বাঁচার আশা একেবারে ক্ষীণ।

হাফিংটন পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই বিষয়ে অনেকে অনেক থিওরি দিয়েছেন যে, কেন এই ধরনের শিশুরা জন্মগ্রহণ করে।

ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের মতে, ‘কনজয়েন্ট ‍টোয়াইন’ তাদের বলা হয় যারা শারীরিকভাবে একসঙ্গে সংযুক্ত থাকে। যে সকল টোয়াইনস আলাদাভাবে জন্মগ্রহণ করে তাদের ভ্রুণ তৈরি হওয়ার সময়ই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি আলাদা ভিন্ন ভিন্ন ভ্রুণ তৈরি হয়। আর যে সকল ভ্রুণ জন্মগ্রহণের সময় পৃথক হতে গিয়ে সম্পূর্ণরুপে হতে পারে না, তারাই পরবর্তীতে কনজয়েন্ট টোয়াইন হিসেবে জন্মগ্রহণ করে।

মায়ো ক্লিনিক এর মতে, একটা ভ্রূণ জন্মগ্রহণের আট থেকে বার দিনের মধ্যে আইডেন্টিক্যাল টুয়াইন আলাদা হতে শুরু করে। এটা ধারণা করা হয় যদি এই প্রক্রিয়াটি ভ্রুণ গঠনের পরে আরো দেরি করে শুরু হয় আনুমানিক ১৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তাহলেই সম্ভবত কনজয়েন্ট টুয়াইনের জন্ম হয়।

সিটেল চিলড্রেন হসপিটাল এর মতে, ‘কনজয়েন্ট টোয়াইন এর ডিম্বাণু আগে থেকেই বিভক্ত হয়ে থাকে এবং পরে সেটা একত্রিত হয়ে পরে ভ্রুণ তৈরি করে।’

ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড বলেছে, আনুমানিক দুই লাখ নবজাতক শিশুর মধ্যে মাত্র একটি শিশু কনজয়েন্ট টোয়াইন হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ শিশুই প্রথমদিনেই মারা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আনুমানিক চল্লিশ থেকে ষাট শতাংশ পর্যন্ত জোড়া লাগা শিশুরা মৃতবস্থায় জন্মায়।

ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের মতে, ক্রানিওপেগাস টোয়াইনরা খুবই বিরল হয়ে থাকে। সারা বছর যতগুলো টোয়াইন জন্মগ্রহণ করে এর মধ্যে দুই শতাংশ ক্রানিওপেগাস টোয়াইন হিসেবে জন্মগ্রহণ করে।

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ