সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন: সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মরক্কোতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ দাওয়াত ও তাবলিগের নীরব বিপ্লব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য-কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের

জুমআর দিনের গুরুত্ব ফজিলত ও বিশেষ আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাজী আব্দুল্লাহ

ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতাে। এ দিন ইসলামী ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তা'আলার কাছে এতখানি যে, কোরআনে 'জুমা' নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা কোরআনে ইরশাদ করেন , হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানাে হয়, তখন তােমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা ( দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তােমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তােমরা জানতে । (সূরা জুমা:০৯)।

রাসুল সা. একটি হাদিসে বলেছেন,"মুমিনের জন্য জুমার দিন হলাে সাপ্তাহিক ঈদের দিন"।(ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮)।

রাসুল সা. আরও বলেছেন, মহান আল্লাহর কাছে জুমার দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের মতাে শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৮৪)।

এক হাদিসে নবী সা. ইরশাদ করেছেন , যে দিনগুলােতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলাের মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হজরত আদমকে আ. সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানাে হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪।

হাদিসে আরও এসেছে , আল্লাহ তা'আলা জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের আগের লােকদের উদাসীন রেখেছেন। ফলে ইহুদিদের জন্য শনিবার, আর খ্রিস্টানদের জন্য রােববার। মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৬।

মহানবী সা. আরাে ইরশাদ করেছেন, "জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে, কোনাে মুসলিম যদি সেই সময়টা পায় , আর তখন যদি সে নামাজে থাকে , তাহলে তার যেকোনাে কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)।

জুমার দিনের বিশেষ আমল

রাসুল সা. এরশাদ করেন, "তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরুদপাঠ করো,কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।" (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ১০৪৭)।

এমনিতেই তিরমিজি শরিফের হাদিস অনুযায়ী আমরা জানতে পারি যে যে ব্যক্তি দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার উপর ১০ টি রহমত নাযিল করবেন। সুতরাং আমাদের জুমার দিন অন্যান্য আমলের সাথে সাথে বেশি বেশি দরুদপাঠ করতে হবে।

জুমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনা করে প্রতিটি মুসলিমের উচিত এই দিনটিকে কাজে লাগানাে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ