বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৯ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :

টিকার দুই ডোজের মধ্যে দীর্ঘ বিরতি ঝুকিপূর্ণ: ফাউসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ডোজের মধ্যকার সময় যদি বেশি হয় তাহলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হোয়াইট হাউজের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউসি।

শুক্রবার (১১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছাড়াও এর কয়েকটি ধরনের অত্যন্ত সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ধরনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল করোনা ভাইরাসের চেয়ে শক্তিশালী।

যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ফাইজারের করোনা টিকার প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যকার সঠিক বিরতি হলো ৩ সপ্তাহ। মডার্নার ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহ। আপনি যদি টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এর চেয়ে বেশি বিরতি নেন, সেক্ষেত্রে করোনার যে কোনো ধরনে আক্রান্তের ঝুঁকি থাকবে।’

ফাউসি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে এমনটা দেখা গেছে। প্রচুর মানুষ সেখানে করোনার বিভিন্ন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এটি ঘটেছে টিকার দুই ডোজের মধ্যকার দীর্ঘ বিরতির কারণে। এ কারণে আমরা সবাইকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’

তবে টিকার ডোজের ঘাটতি দেখা দিলে অবশ্য এই বিরতি বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন ফাউচি।

ভারতে ডেল্টা নামে করোনা ভাইরাসের যে নতুন ধরণ শনাক্ত হয়েছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফাউচি বলেন, ‘ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের এই ধরনটি মূল ভাইরাসের তুলনায় অনেক দ্রুত ও নিখুঁতভাবে মানবদেহে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং তা প্রমাণিত। কোনো দেশে যদি ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয় তাহলে এখন প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে সেখানে খুব দ্রুত উচ্চহারে করোনা সংক্রমণ দেখা দেবে। বিশেষ করে ওই দেশের বেশিরভাগ নাগরিক যদি টিকা না নিয়ে থাকেন।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে পরিত্রাণ পেতে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোকে গণটিকাদান কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে ফাউসি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব অধিকসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা উচিত। যদিও গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টার সংক্রমণ ক্ষমতা এতই বেশি যে টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরও অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও আমি বলব, মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র এটি। বিশ্বের যত বেশিসংখ্যক মানুষকে আমরা টিকার আওতায় আনতে পারব, তত দ্রুত এই মহামারি থেকে মুক্তি মিলবে।’

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ