শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

তার চলে যাওয়া এবং আমাদের হা-হুতাশ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।হুমায়ুন কবীর শাবীব।।

বেঁচে থাকতে গুণীদের খুব একটা কদর হয়না এ সমাজে। মরে যাবার সাথে সাথেই আমরা আফসোস করি, কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাই। তার আকষ্মিক মৃত্যুতে শত্রু-মিত্র সবাইকে কাঁদতে দেখেছি। দেখেছি, হা-হুতাশ করতে। বন্ধু তো বন্ধুর বিয়োগে কাঁদবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শত্রু..?

যাইহোক, মূল কথা হলো- তিনি চেয়েছিলেন গানের মাধ্যমে একটা গণজাগরণ সৃষ্টি করতে। স্বল্প সময়ে খানিকটা সফলও বলা যায়। এই সফলতা আরও দ্বিগুন হতে পারতো, যদি আমরা তার পাশে আর একটু দাঁড়াতে পারতাম! যে দাঁড়ানোটা এখনো শিখিনি আমরা। আমরা কি পক্ষপাত শিখেছি? শিখেছি অন্যকে খাটো করে দেখা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, অন্তর্দন্দ সৃষ্টি করা!

আমরা কত স্বপ্ন দেখি... বিপ্লবের স্বপ্নই সবচেয়ে বড়। স্বপ্ন যদি হয় বিপ্লবের, তাহলে বিপ্লবীরা কখনো এগুলো করতে পারেনা।
অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক তরুণ ভাল কিছু করার চেষ্টা করছে। ওদেরকেও প্রোমোট করি, উৎসাহ যোগাই।
কারণ উৎসাহ যোগানোই সব চেয়ে বড় সহযোগিতা। ওদের কাছে যাই, বসি, গল্প করি, সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াই। সাংস্কৃতিক কর্মীদের মূল স্রোতে প্রবাহিত করতে আমাদের এই জড়তাগুলো দূর করতে হবে সবার আগে।

কিছু শ্রোতা এক সময় তার গান একঘেয়েমি বলে বিমুখতা প্রদর্শন করতেন। আবার তার চলে যাবার পর, ঐ সব শ্রোতারাই সেই একঘেয়েমি গানগুলো শুনতে ব্যাকুল পাগলপাড়া। কত বিচিত্র এ সমাজের মানুষ তাই না? এখন প্রশংসায় ভেসে যায় তার নাম।
কতকত উপাধি তার নামের পাশে। জীবদ্দশায় এগুলো শুনলে মনে হয় খানিকটা অবাকই হতেন। কারণ তিনি তো লিখেছেন,
"গান গেয়ে গেয়ে কুঁড়াতে চাইনি জশ খ্যাতি" তাই একজন গুণী মানুষের যথাযথ মূল্যায়নে এইসব সস্তা প্রশংসা বন্ধ হওয়া দরকার।

হা-হুতাশ নয়, যে যতটুকু করছে তার ভালো দিকটার মূল্যায়ন করি। আরো ভালো করতে উৎসাহ উদ্দীপনা যোগানোর কোনো বিকল্প নেই। কারণ সাংস্কৃতিক কর্মীরা এতটুকুই চায়। তাকে ঘিরে আমাদের কত স্বপ্ন ছিলো। বলতে পারেন আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন.!
তার বিয়োগে অনেক ঝড় এসেছে, কাল বৈশাখী ঝড়। এসেছে টর্নেডও! মালিকের অসিম কৃপায় এখনো সেই স্বপ্নের পথ ধরেই এগিয়ে চলা। সে স্বপ্নের সারথিরা যে যেখানেই থাক সবার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া। আর সেই স্বপ্নের প্রাণ ভোমরা আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ. আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন ওপারে। লেখক- পরিচালক, স্বপ্নসিঁড়ি সাংস্কৃতিক ফোরাম।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ