জুলফিকার জাহিদ।।
বৃহস্পতিবার বাদ ফজর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে প্রখ্যাত আলেম আল্লামা তাকী উসমানীর ওপর। তবে তিনি নিরাপদে রয়েছেন, সুস্থ রয়েছেন। হামলার চেষ্টার সময় দারুল উলুম করাচিতে ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ঘাতকের হাতে গিফট পেপারে কিছু একটা মোড়ানো ছিল। এর মাধ্যমেই হামলার চেষ্টা চারানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ফজর পড়ে হুজুর বসেছিলেন,দু’একজন ছাত্র হুজুরের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন, আমরা কয়েকজন পাশে বসে ছিলাম, এমন সময় একজন হুজুরের সাথে দেখা করতে আসেন। তার হাতে গিফট পেপারে কিছু একটা মোড়ানো ছিল। হুজুরের সাথে সে কি বিষয়ে কথা বলছিল তা আমরা বুঝতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে গার্ড আমাদেরকে জানালেন, সে হুজুরের সাথে আলাদা কথা বলার অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু হুজুর বলেন আমি আপনাকে চিনি না আপনার সাথে কিভাবে কথা বলতে পারি। একথা বলে হুজুর কিছুটা পিছিয়ে এলে ঘাতক চাকু বের করে, গার্ড তা দেখতে পেয়ে সাথেসাথে তাকে ধরে ফেলে ও পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনার পর হুজুর তাৎক্ষণিক সেখান থেকে বাসায় চলে যান’।
প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঘাতক হামলার চেষ্টা করছিল, সে ছুরি বের করেছিল, তবে সে হামলা করতে পারেনি।
তার বর্ণনামতে ঘটনা অনেক বেশি গুরতর ছিল না, আমরা সেখানে বসে থেকেও ঘাতকের হামলার পরিকল্পনা ও চেষ্টার ব্যাপারে বুঝতে পারিনি, পরে যখন হুজুর বললেন, এই লোকের হাতে চাকু এলো কিভাবে? তাকে মাদরাসার বাইরে বের করে দাও- তখন বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ( ৮ জুলাই) দারুল উলূম করাচিতে ফজরের নামাজের পর আল্লামা তাকী উসমানীর ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়।
জানা যায়, ফজরের নামাজের পর হামলাকারী মুফতি তকি উসমানীর সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন। কথা বলার সময় হামলাকারী পকেট থেকে ছুরি বের করেন। মুফতি তাকি উসমানীর সাথে থাকা গার্ড তাৎক্ষনিক হামলাকারীকে ধরে ফেলে এবং তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এসএসপি কোরঙ্গি শাহ জাহান জানান, হামলাকারী গুলিস্তান-জৌহরের বাসিন্দা। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার বিষয়ে আল্লামা তাকী উসমানী নিজেও বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফজরের পরে একজন এসেছিলেন আমার সাথে একান্তে সাক্ষাত করতে। কথা বলার জন্য আমি তার নিকটবর্তী হলে সে পকেট থেকে চাকু বের করে , এসময় আমার আশপাশের লোকেরা তাকে আটক করেন। আল্লাহর শুকরিয়া আমার কিছু হয়নি, আমি নিরাপদ আছি’।
এটি