আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার দুর্বল শিশু এবং বয়স্ক মানুষেরা অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ। দেশটিতে নিযুক্ত সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত এই ঝুঁকির জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছেন। আর মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রান্ত অবরোধ খাদ্য সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে বলে দাবি তার।
জাতিসংঘ দূত টমাস ওজেয়া কুইনটানা বলেছেন, এসব কারণে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকেরা প্রতিদিনই মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপনে হিমশিম খাচ্ছে। সংকট এড়াতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের তাগিদ দেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ায় বর্তমানে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট চলছে। মহামারি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে তারা। ফলে স্থগিত হয়ে গেছে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ। অথচ খাদ্য, সার আর জ্বালানির জন্য চীনের ওপর নির্ভর করে উত্তর কোরিয়া।
চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন স্বীকার করেন তার দেশ মারাত্মক পরিস্থিতিতে রয়েছে। খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির খবরও রয়েছে। গত জুনে এনকে নিউজ জানায় দেশটিতে এক কেজি কলা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ মার্কিন ডলারে।
সর্বশেষ প্রতিবেদনে জাতিসংঘ দূত টমাস ওজেয়া কুইনটানা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান। এতে করে দেশটিতে মানবিক এবং জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছান সম্ভব হবে বলে জানান এই দূত।
এনটি