বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

ফারেগের পরেও কিতাব বুঝতে সমস্যা? যেভাবে কাটিয়ে উঠবেন দুর্বলতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন:

হুজুর আমি একজন তাকমীল পড়ুয়া মধ্যম দরজার ছাত্র। ২০ বছর বয়সে তাকমীল পড়ি। তাকমীল পর্যন্ত পড়লেও বয়সের স্বল্পতার কারণে দরসি কিতাবগুলো অনেকাংশই বুঝতে সক্ষম হইনি। তাছাড়া মনোযোগের অভাবও যথেষ্ট ছিল। কারণ ইলম তলবের মাকসাদই বুঝিনি। বর্তমান আমার যোগ্যতা সরফ-এর ক্ষেত্রে যা আছে তাতে পাঞ্জেগাঞ্জ ও ইলমুছ্ ছীগা পড়াতে পারব ইনশাআল্লাহ। নাহব ও মানতেকের কিছুটা ধারণা আছে। তবে এখন নাহু-সরফ মুতালাআ করলে আগের চেয়ে কিছুটা ভাল বুঝতে পারি আলহামদুলিল্লাহ।

এখন আমার কথা হল, কী করলে বা কোন কোন কিতাব পড়লে আমি যোগ্য আলেম হতে পারব। অর্থাৎ আমি নিচের কিতাব বা বিষয়গুলো সম্পর্কে বুৎপত্তি অর্জন করতে পারব? কিতাবগুলো হল- [১] হেদায়া [২] নূরুল আনোয়ার [৩] শরহে তাহযীব [৪] উসূলুশ শাশী [৫] মুখাতাসারুল মাআনী [৬] শরহে আকায়েদ [৭] সিরাজী। এবং আমার জন্য কি ইফতা পড়া সম্ভব হবে? সম্ভব হলে কীভাবে? মেহেরবানি করে জানালে খুব খুশি হব। কারণ এ ব্যাপারে আমি হতাশায় আছি।

উত্তর:

এটাই হল আমাদের তালেবে ইলম সমাজের সাধারণ ব্যাধি। তারা তলবহীন তালেবে ইলম। আফসোসের বিষয় এই যে, এ ব্যাধি সম্পর্কে বারবার সাবধান করা হলেও তাদের গাফলতের নিদ্রা ভাঙ্গে না। এরপর যখন সময় গড়িয়ে যায় তখন আফসোস করতে থাকে। আপনাকে এজন্য মুবারকবাদ দিচ্ছি যে, আপনি নিজের অপরাধ পরিষ্কার ভাষায় স্বীকার করেছেন। তদুপরি সাহস না হারিয়ে মেহনত জারি রাখার সংকল্প করেছেন। আলাহ তাআলা আপনাকে সাহায্য করুন। আমীন।

এখন আপনার করণীয় কী-এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা আপনার কোনো উস্তাদই দিতে পারেন, যিনি আপনার অবস্থা সম্পর্কে অবগত। আমি সংক্ষেপে এটুকু বলছি যে, কোথাও যদি আপনার তাদরীসের ব্যবস্থা হয়ে থাকে তাহলে কোনো অভিজ্ঞ উস্তাদের নিকট থেকে প্রতিদিনের সবক বুঝে নেবেন। ছাত্রদের মতো ইয়াদ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সবক খুব ভালোভাবে রপ্ত করবেন। উস্তাদের নিকট থেকে তাদরীসের পন্থা বুঝে নেবেন। এরপর দরসগাহে গিয়ে ছাত্রদের পড়াবেন। এভাবে দরসগাহে উস্তাদ আর দরসগাহের বাইরে কোনো পুরনো উস্তাদের শাগরিদ হিসেবে মেহনত অব্যাহত রাখুন। এভাবে যদি প্রাথমিক কিতাবগুলো এক এক করে বারবার পড়াতে থাকেন তাহলে ইনশাআলাহ কিতাবি ইস্তেদাদ পয়দা হবে এবং ইলমি তারাক্কি সহজ হবে। প্রশ্নোক্ত কিতাবগুলোও তখন বুঝে আসতে থাকবে অথবা আলাদাভাবে কারো কাছে ‘আসসাফফুল ইদাদী’ [মাদরাসাতুল মাদীনা]-এর নেসাব পড়ে তারই পরামর্শক্রমে সামনে অগ্রসর হতে থাকুন।

সূত্র: আল কাউসার।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ