আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, খেলাফত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মাদ সা. যে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়ে গেছেন তাতে মুসলমানসহ সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য অধিকার রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কালিমা, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন-ই চলবে। সংসদে আল্লাহর আইন পাশ করে কুরআন সুন্নাহর শাসন কার্যকর করতে হবে। খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে তাওহিদী জনতাকে নতুন করে জাগ্রত করতে হবে। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে এক ও নেক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। খেলাফত শাসনব্যবস্থা না থাকায় দেশে খুন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ, দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতনের সয়লাব চলছে। দেশে বাহ্যিক উন্নয়নের অন্তরালে নৈতিকতার চরম বিপর্যয় ঘটছে। মিথ্যা মামলায় আলেম ওলামাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। অনেক আলেম পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম হওয়ায় তারা অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আজ ইনসাফের আদালতকে জুলুমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খেলাফত প্রতিষ্ঠা হলে সকল জুলুমের অবসান ঘটবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।
এসময় তিনি বন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি জানান।
মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, খেলাফত আন্দোলন বস্তুবাদী, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রচলিত কোন রাজনীতি নয়, খেলাফতের রাজনীতি একটি এবাদত। নবী-রাসূলগণ থেকে শুরু করে বুজুর্গানেদ্বীন যুগে যুগে একাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নৈতিক, আধ্যাতিক ও উন্নত চরিত্র গঠন এ আন্দোলনের কর্মীদের প্রধান শর্ত।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ সকলের কাছে তুলে ধরতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। খোলাফায়ে রাশেদার অনুকরণে খেলাফত পদ্ধতির রাষ্ট্র কায়েম হলে দেশে শান্তি আসবেই।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নায়েবে আমির মাওলানা হাজী ফারুক আহমাদ, মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা আকরাম আলী ফরিদপুর, মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, এডভোকেট লিটন চৌধুরী, মুফতি আব্দুল আজীজ চট্রগ্রাম, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাওলানা সানাউল্লাহ, ডা. নিয়ামত আলী ফকীর, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, এডভোকেট আব্দুল আজীজ মোমেনশাহী, মাওলানা শেখ নাসির উদ্দিন সিলেট, মাওলানা আব্দুল হাই নোয়াখালী, মাওলানা আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া ফেনী, মাওলানা শেখ সাদী নারায়ানগঞ্জ, মুফতি শিহাবউদ্দিন কাসেমী গোপালগঞ্জ, মাওলানা সানা উল্লাহ ফিরোজ, বরিশাল, মৌলভী আনোয়ার আহমাদ, নেত্রকোনা, মুফতি মোর্শারফ হোসাইন নরসিংদী, মাওলানা গাজী আব্দুর রহীম নেত্রকোনা, হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান ও মাওলানা মুজাহিদ খান প্রমুখ।
-এএ