আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন শেষে কমস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মব্যস্ত মানুষেরা।
এ সময় অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হলেও এবারের ঈদযাত্রা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে হচ্ছে। তবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশ পথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীর চাপ দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার ভোর থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিআইডব্লিউটিসির মানিকগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, কঠোর নজরদারির কারণে এবার ভোগান্তি ছাড়াই নৌরুটে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
পাটুরিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটে মিলন নামের এক যাত্রী বলেন, আমি ঈদের আগের দিন খুলনা গেয়েছি কোনো ভোগান্তি ছাড়াই; ঈদ শেষে আজ দৌলতদিয়া ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি।
সাদ্দাম নামে আরেক যাত্রী বলেন, আজ ফেরিতে ওঠার সময় অন্যযাত্রীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে উঠতে হয়েছে। শুনেছি ২১ টি ফেরি চলছে, কিন্তু যাত্রী ও বাসের তুলনায় আজ ফেরি কম মনে হয়েছে।
আকলিমা বেগম চাকরি করেন গার্মেন্টসে, বাড়ি থেকে ফিরছেন। তিনি যাবেন সাভারে। তিনি বলেন, পাটুরিয়ার আগ পর্যন্ত বাস ভাড়া ঠিক ছিল। পাটুরিয়া থেকে সাভারের ভাড়া চাচ্ছে ৪০০ টাকা। আমরা চারজন যাব। ৪০০ করে ভাড়া দিলে সারা মাস লোন করে চলতে হবে। ১০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা, যেন দেখার কেউ নেই।
শামিম নামে আরেক যাত্রী যাবেন নিউমার্কেট এলাকায়। তিনি জানান, নিলচলের ভাড়া ১৫০ টাকা। আজ ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। ৯৯৯ নাইনে ফোন দিলাম, সেখান থেকে জানানো হল ভোক্তা অধিকারে ফোন দেবার জন্য। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সেলফি পরিবহনের বাসচালক বলেন, ঢাকা থেকে কম যাত্রী নিয়ে ঘাটে আসছি। তাই কিছু টাকা বেশি নিচ্ছি।
মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল জুবায়েদ বলেন, পর্যাপ্ত ফোর্স নিয়ে কঠোর নজরদারির কারণে এবার স্বস্তিতে যাত্রীরা বাড়ি গিয়েছেন আবার ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, ছোট বড় মিলে ২১ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারা পার করায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
অপরদিকে ফেরির মতো ২১ টি লঞ্চ দিয়েও হাজার হাজার যাত্রী দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়া প্রান্তে আসছেন। এ বাহনেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
এ বিষয়ে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-এটি