আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী বলেছেন, কোরবানি পশুর চামড়া দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে ৷ অথচ গত কয়েক বছর ধরে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে চামড়া ক্রয় করে এ শিল্পকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। গরীব এতিমদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি চামড়া শিল্পকে ধ্বংসে তৎপর সিন্ডিকেটকে প্রতিহত করে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চামড়া শিল্প বাঁচাতে এবং গরীব-এতিমদের প্রকৃত হক প্রাপ্তিতে চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যথায় গত বছরের মতো লাখ লাখ চামড়া বিনষ্ট হওয়ার মতো ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে এবং দেশের বিপুলসংখ্যক এতিম, গরিব ও নিঃস্ব মানুষ বঞ্চিত হবে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর রামপুরার জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়ায় মাসিক নির্বাহী মিটিংয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত। সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য ত্রাণ তৎপরতা ও বন্যাদূরীকরণে যথাযথ পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বানবাসি মানুষ বহু কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
তিনি সরকারসহ ধনী ও সকল পেশার জনগণকে নিজ নিজ সামর্থের আলোকে বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
নগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ উল্লাহ আনসারীর পরিচালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- নগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ মুর্তাজা কাসেমী, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মোহাম্মদ উল্লাহ নাহিদ, হাফেজ মাওলানা আলী হুসাইন, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, মাওলানা আব্দুল জব্বার, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা নূরে আলম, মাও. রমিজুল ইসলাম, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ প্রমূখ৷
উল্লেখ্য, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার পক্ষ থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলাসহ বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত আলেম-ওলামা ও জনসাধারণের মাঝে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ত্রান সহায়তা প্রদান করা হয়।
-এএ