বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন পেল লতিফ সিদ্দিকী মাধবপুর রাজনগরে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বাধার মুখে ইসলামি ৮ দলের গণমিছিল মিছিল নিয়ে যমুনার পথে যাচ্ছে ৮ ইসলামী দল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রদল নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখা প্রতীকের সেন্টার কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা ‘আমরা কিছু কাজের পর ঘুমিয়ে পড়ি, খতমে নবুওয়তবিরোধীরা তো ঘুমায় না’ পুঁজিবাজারে পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন মালয়েশিয়া শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ ইসলামি শক্তিকে আরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: ড. আহমদ আবদুল কাদের

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলায় ৬০ সেনা নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে অব্যাহত জান্তাবিরোধী হামলায় গত তিন দিনে অন্তত ৬০ জন সেনা নিহত হয়েছে। আজ সোমবার থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির রাখাইন ও মুন রাজ্য এবং সাগাইন, মান্দালয় ও তানিনথারি অঞ্চলে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাগুলো চালিয়েছে দেশটির জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ।

গতকাল রোববার সকালে সাগাইন অঞ্চলের মায়াং শহরের পাশে সাগাইন-মনিওয়া মহাসড়কে জান্তা বাহিনীর ছয়টি গাড়ির একটি বহর যাচ্ছিল। এ সময় ৬টি মাইনের বিস্ফোরণ ঘটায় জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী।

এতে ১৫ জান্তা সেনা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ছাড়া, জান্তা সরকারের একটি আদালতেও বোমা হামলা চালানোর দাবি করেছে পিডিএফ। রোববার সন্ধ্যায় রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত মাইনের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ইয়াঙ্গুনের সানচাং টাউনশিপের বাহো রোডের একটি আদালতে।

এদিকে, ইরাবতীর আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ব্যাটালিয়নের সেনাদের যুদ্ধ করার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বয়স্ক ও তরুণ সেনাদের অনুপাত বাড়ছে। কমে যাচ্ছে মনোবল। সেনাবাহিনী এখন বিমানবাহিনীর সহায়তা ছাড়া যুদ্ধ করতে সক্ষম নয়।

মিয়ানমারে গত বছরের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের আড়াই মাসের মাথায় গঠিত হওয়া এনইউজি দাবি করেছে, তারা যৌথ প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে মিয়ানমারের প্রায় ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। জান্তা বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অবৈধ ঘোষিত এমপি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় এনইউজি। প্ল্যাটফর্মটি অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির পুরোনো কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমারের’ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের ৫ শতাংশের কম অঞ্চলে জান্তা সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অন্যদিকে এনইউজি ও তার মিত্ররা নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটির প্রায় ৫৩ শতাংশ অঞ্চল। দেশের বাকি অঞ্চলগুলোতে কোনো পক্ষেরই কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ