শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

একজন সাদামনের আলেমের বিদায়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল আমিন রাহমানী: হাফেজ মাওলানা আব্দুস সালাম রহ. জামিয়া রাহমানিয়ায় দীর্ঘদিন হিফজ বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আমিও হুজুরের কাছে কিছুদিন (২০১০) পড়েছি। একদম সরল, নিরহঙ্কার ও সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন।

আমরা হিফজ বিভাগ থেকে কিতাব বিভাগে আসার পর, কোনো প্রয়োজনে হিফজখানায় গেলে খুব সমাদর করতেন। সরাসরি ছাত্র হওয়ার পরেও হিফজখানায় গেলে সরলমনে টুপি খুলে বলতেন মাওলানা সাব একটু ফুঁ দিয়ে দেন। লজ্জা লাগতো, তারপরও মুহাব্বত করে বলাতে ফুঁ দিতাম। হুজুর খুশি হতেন। এ ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটতো।

হুজুরের দুইটা কথা সবসময় মনে পড়ে। ১। হুজুর বলতেন—টিনের চালের যে স্থানে স্ক্রু লাগানো হয়, ওটা মজবুত থাকে। ঝড় তুফানে কিছু হয় না। আর যেখানে স্ক্রু থাকে না, সেটা দুর্বল থাকে, হালকা বাতাসেও টলে যায়। হুজুরদের শাস্তিগুলোও তেমন। যেই পড়ায় বেতের বারি পড়েছে, ওটা বেশি ইয়াদ থাকে। আর যেখানে পড়ে নাই সেটা দুর্বল হয়। ইয়াদ কম থাকে।

২। হুজুরের গদির সামনে বসা ছাত্রদের লক্ষ্য করে তিনি বলতেন— দেখো তোমাদের আর আমাদের বাহ্যিক উপবেশনস্থলের মাঝে মাত্র একবিঘত দূরত্ব। কিন্তু এ এক বিঘত দূরত্ব অতিক্রম করতে ১২/১৫ বছর লাগে।

হুজুরের একথাগুলো আমাদের ছোটো মনে আনন্দ দিতো। ভালো লাগতো। তাই একযুগ পরে এসেও কথাগুলো সেভাবেই মনে আছে।
কিতাব বিভাগে থাকাবস্থায় যখনই দেখা হতো, হাসি দিয়ে নিজে আগে সালাম দিতেন। খোঁজ খবর নিতেন।

আজিজিয়া হওয়ার পর দিলগনী মসজিদে ইফতা থাকার সুবাদে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। হুজুরের সাথে একবার দেখা হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কোথায় খেদমতে আছি, কেমন আছি, বিয়ে শাদি করেছি কি না ইত্যাদি খোঁজ খবর নিয়েছেন। কথা শেষে খাবারের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু তাড়াহুড়া থাকায় দাওয়াত গ্রহণ করতে পারিনি। কোনোদিন কল্পনাতেও আসেনি হুজুর এত দ্রুত চলে যাবেন। রহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসিয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ