সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক চায় কানাডা ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৩৬ বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিডিআর হত্যায় দলগতভাবে জড়িত আওয়ামী লীগ, মূল সমন্বয়কারী তাপস: কমিশন পাকিস্তানের সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্পর্ক খারাপ করে রাখা হয়েছিল: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লন্ডনে জমিয়ত নেতাদের উদ্যোগে বিশেষ দোয়া মাহফিল জাতীয়করণ হচ্ছে ৫৫০ ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরি বেঁচে আছেন ইমরান খান, দেশ ছাড়তে চাপ দিচ্ছে সরকার: পিটিআই নেতা ২ ডিসেম্বর আট দলের বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ পরিদর্শনে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কামালকে প্রথম প্রত্যর্পণের অফিসিয়াল তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা

তাবেলা সিজার হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারী সোহেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডি’র কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। ঘটনার দিনই গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন আইসিসিও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২২ জুন ডিবি পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে একই বছরের ২৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, শ্বেতাঙ্গ নাগরিককে হত্যার মাধ্যমে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাখাওয়াতের মোটরসাইকেলে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে যান এবং গভীর রাতে নির্জন স্থানে তাবেলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মামলার বিচার চলাকালে ৭০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়ার রায় ঘোষণা হলো।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ