এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে সারা দেশে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে ১৫ হাজার ৬১৯ জন ব্যক্তি সেবা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা । তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ১০২ জন সেবা নিয়েছেন মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে।
আজ রোববার জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ থেকে ১৩ জুন ঈদুল আজহার ছুটিতে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ২ লাখ ২০ হাজার ৩৮৮টি কল এসেছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৬১৯ জন জরুরি সেবা পেয়েছেন; যাঁদের মধ্যে ১৩ হাজার ৮৩১ জন জরুরি পুলিশি সেবা, ৯৯৩ জন অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং ৭৯৫ জন জরুরি ফায়ার সার্ভিস সেবা পেয়েছেন।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব ব্যক্তি জরুরি সেবা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ১০২ জন আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি–সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা নিয়েছেন। এ ছাড়া ১ হাজার ২১৪ জনকে লেনদেন নিয়ে জোর করে আটকে রাখা, ১ হাজার ৬২ জনকে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি মেডিকেল সেবা এবং ৯৯২ জনকে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সেবা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১ হাজার ২৭১ জনকে ঈদুল আজহায় গরুর হাটে চাঁদাবাজি, রাস্তায় চাঁদাবাজি, নদীতে চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক পশু অন্য হাটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, অজ্ঞান-মলম পার্টি এবং শব্দদূষণ–সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার সাত্তার বলেন, ‘এবার ঈদের ছুটিতে মারামারি–সংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ সেবা নিয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, তুচ্ছ কারণে এসব মারামারির ঘটনা ঘটেছে। টাকাপয়সার লেনদেন, স্বামী–স্ত্রীকে জোর করে আটকে রাখার বিষয়ে প্রতিকার চেয়েও অনেক ফোন এসেছে। সব মিলিয়ে কয়েক লাখ কল এলেও না বুঝে অপ্রয়োজনীয় কলই বেশি, যা জরুরি সেবার মধ্যে পড়ে না।’
এমএম/