বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন মসজিদের ইমাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইমামতি করে টাকা জমিয়ে হেলিকপ্টারে রাজকীয়ভাবে বিয়ে করতে গেলেন রাজবাড়ীর হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামে এমন রাজকীয় বিয়ের আয়োজন হয়। বর একই গ্রামের আবুল হোসেন ক্লাব মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান ও একই মাঠে তিনি হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে নামেন। এ সময় উৎসুক জনতা তাকে দেখতে আসে।

বর হাফেজ মো. রুহুল আমিন সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মোশাররফ হোসেন হেলালীর ছেলে। তিনি দাদশী মাজার জামে মসজিদের ইমামতি করেন এবং তাদের নিজস্ব একটি মাদরাসা রয়েছে।

স্থানীয় ও বরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিনের ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাবেন। এজন্য তিনি ইমামতি করে স্বল্প আয়ের মধ্যেও টাকা জমিয়েছিলেন। তার জমানো টাকা ও বাবার কিছু জমানো টাকা দিয়ে তিনি হেলিকপ্টারে ঝিনাইদহ জেলায় বিয়ে করতে যান।  হাফেজ রুহুল আমিন বলেন, আমি ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে হাফেজি পড়া শেষ করি। যখন হাফেজি পড়া শেষ করি তখন আমার বাবা আমাকে বলেছিল যে, তুমি কী চাও? তখন আমি বলেছিলাম হেলিকপ্টারে চড়ে আমার বিয়ে করতে যাওয়ার ইচ্ছা। তখন আমার বাবা বলেছিল তোমার যে আবদার আল্লাহ তোমার মনের আশা পূরণ করবে। আমার বাবা সবসময় এ ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি হেলিকপ্টারে চড়ে ঝিনাইদহ বিয়ে করতে যাচ্ছি। আমার স্ত্রী সেও একজন হাফেজ।

রুহুল আমিনের বাবা মোশাররফ হোসেন হেলালী বলেন, আমার ছেলে ১০ বছর বয়সে হাফেজ হয়। তখন তাকে বলেছিলাম বাবা তুমি আমার কাছে কী চাও। আমি তখন মনে মনে ভেবেছিলাম বাইসাইকেলের থেকে আর বেশি কিছু কী চাবে সে। তখন সে তার দাদা ও দাদিকে সাথে করে নিয়ে এসে আমার কাছে বলে আমি বিয়ের উপযুক্ত হলে আমাকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাব। তখন আমি তাকে আশ্বাস দেই। আমার ছেলে বিয়ের উপযুক্ত হলে তখন আমি মেয়ে দেখতে শুরু করি। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটা মেয়ে পছন্দ হয়। পরে আমার ছেলেকে জানাই। তখন সে বলে বাবা আমি কিন্তু হেলিকপ্টার ছাড়া বিয়ে করতে যাবো না। তুমি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ