বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে?‌‌‌‌

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) হত্যাকাণ্ডের পর নিঃস্ব ও শোকাহত তার পরিবার। প্রিয় সন্তানের মৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা মো. হাসান জামিল। কান্নাভেজা কণ্ঠে তিনি বলছেন,
"কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে? কী অন্যায় করেছিল সে? আমি তো কারও ক্ষতি করিনি। তোমরা আমার ছেলেকে ফেরত দাও!"

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের এই পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ১০টায় নিহত তুহিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলে তার পিতার এই আহাজারির।

ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে হাসান জামিল বলেন,
"পরশুদিন সে আমার জন্য ওষুধ কেনার টাকা পাঠিয়েছিল। এখন কে ওষুধ পাঠাবে? কে আমার খোঁজ রাখবে?"

ছেলের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তুহিনের মা সাহাবিয়া খাতুন বকুলও। বলেন,
"পরশু মোবাইলে নাতিদের সঙ্গে কথা বলিয়েছিল, বলেছিল ভালো থেকো। কে জানতো এটাই শেষ কথা হবে! আমার ছেলেকে কেন মেরে ফেললো, কী দোষ ছিল তার?"

বড় বোন রত্না বেগম ছুটে এসেছেন ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ শুনে। ভাইয়ের লাশ দেখতে গিয়ে বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
"আমার ভাই আমার কোলে বড় হয়েছে। ও তো কারও ক্ষতি করেনি, কেন মানুষ হয়ে মানুষকে এভাবে মেরে ফেললো?"


তুহিনের বড় ভাইয়ের স্ত্রী নূরুন্নাহার বেগম বলেন,
"যারা ওকে হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই। তারা মানুষ না, অমানুষ। কেউ কী এমন করে মানুষ খুন করে?"

ভাগ্নে আবু রায়হান বলেন,
"মামা ভালো মানুষ ছিলেন। ব্যবসার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করতেন। আমরা তার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।"

তুহিন ছিলেন একাধারে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী। তার বড় ভাই জসিম উদ্দিনের সঙ্গে গাজীপুর চৌরাস্তায় থেকে কাজ শুরু করেন। তবে ২০০৯ বা ২০১০ সালে বড় ভাই জসিম ক্যান্সারে মারা যান। এরপর থেকে তুহিন ও তার ছোট ভাই সেলিম সেখানে বসবাস করতে থাকেন।

তাদের অপর দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফে এবং শাজাহান মিয়া সিলেটে বসবাস করছেন। দুই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় গ্রামে বৃদ্ধ বাবা-মা একা থাকেন। তারা দু’জনেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। ছেলেরা পালাক্রমে তাদের দেখভাল করতেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তুহিনের মরদেহ বর্তমানে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় রয়েছে। আজ বাদ জোহর সেখানে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। এরপর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ