এম. মিজানুর রহমান, বান্দরবান
লামা উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মসজিদটি শুধুমাত্র ধর্মীয় স্থান নয়, এটি একটি ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তবে কাজের শুরু থেকেই প্রকল্পে কোনো পর্যাপ্ত জবাবদিহিতা ছিল না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।
স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, মসজিদের প্রতিটি নির্মাণে ত্রুটি ও নিম্নমানের কাজ লক্ষ্য করা গেছে। ওপেন স্পেস থেকে ছাঁদ ফেটে পানি পড়া, টাইলসের দুর্বল ফিনিশিং, জানালা-দরজায় নিম্নমানের কাঠ ব্যবহৃত হওয়া, সাউন্ড সিস্টেমে সমস্যা ও বয়স্কদের জন্য প্রবেশ সিঁড়ি ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয়রা বলছেন, ১৪ কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিত এই মসজিদে ৩৯টি উল্লেখযোগ্য ত্রুটি রয়েছে। কিছু ত্রুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আড়াল করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। মুসল্লিরা দাবি করছেন, নিরপেক্ষ প্রকৌশল বিভাগ দ্বারা সরেজমিন তদন্ত করলে প্রকল্পে অনিয়মের ভয়াবহতা পরিষ্কার হবে।
এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের রাঙ্গামাটি সার্কেলের প্রকৌশলী সুমিত জানান, “বড় ধরনের কোনো অনিয়ম হয়নি। ছোটখাটো কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা চলছে। ত্রুটিগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন লামার জাহাঙ্গীর সাহেবের কাছে দেওয়া হয়েছে।”
ইসলামিক ফাউন্ডেশন লামার উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাকে মসজিদ নির্মাণের ত্রুটি ও অনিয়ম তদন্তের কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি।”
লামা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবু হানিফ বলেন, “পানি ঝরার বিষয়টি ঠিকাদার সমাধান করেছে। অন্যান্য ত্রুটি থাকলে ঠিকাদার সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে সমাধান করতে বাধ্য।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, “অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ কাজ আমরা গ্রহণ করব না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণভাবে কাজ শেষ করতে এবং ত্রুটিগুলো মেরামত করতে বলা হয়েছে।”
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এই ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
এমএইচ/