বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মৃত মানুষের দেহ খাওয়া ইয়ানোমামি গোষ্ঠী!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

yamami

আওয়ার ইসলাম: মানবসমাজে কত রকমের বিচিত্র রীতি যে প্রচলিত রয়েছে এ যুগেও! যে সমাজ বা সংস্কৃতিতে এই সব রীতি প্রচলিত, তারা বাদে অন্যদের কাছে এই রীতি হয়তো অস্বাভাবিক, অসভ্য বলে প্রতিপন্ন হয়।

কিন্তু যারা এই রীতি পালন করেন, তারা তা করে থাকেন আন্তরিক নিষ্ঠার সঙ্গে। ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত মৃত মানুষের দেহ থেকে স্যুপ তৈরি করে খাওয়ার রীতি তেমনই একটি প্রথা।

ভেনেজুয়েলা আর ব্রাজিলের সীমারেখা বরাবর আমাজনের অরণ্যে প্রাচীন ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের বাস। মৃতদেহ সৎকারের এক প্রাচীন রীতি এঁরা আজও টিকিয়ে রেখেছেন।

ইয়ানোমামিরা বিশ্বাস করেন, মৃত্যু মানবজীবনের কোনও স্বাভাবিক অঙ্গ নয়। বরং প্রতিস্পর্ধী কোনও গোষ্ঠীর অশুভ শক্তির প্রভাবে ঘটে মৃত্যু।

সেই শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই সেক্ষেত্রে কর্তব্য। সেই উদ্দেশ্যেই মৃতদেহ সৎকারের এক অদ্ভুত রীতি পালন করেন এই মানুষগুলো।

কোনও মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরে মৃতদেহটি ফেলে আসা হয় জনবসতির অদূরবর্তী অগভীর জঙ্গলে। ওই অবস্থায় ৩৫-৪০ দিন ফেলে রাখা হয় দেহটিকে।

প্রাকৃতিক নিয়মে দেহটি ক্ষয়প্রাপ্ত হলে সংগ্রহ করে আনা হয় অবশিষ্ট দেহাংশ এবং হাড়গুলি। তারপর সেগুলি দাহ করা হয়। তারপর সেই ভস্ম এক ধরনের স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন গোষ্ঠীর সকলে।

ইয়ানোমামিদের বিশ্বাস, এইভাবে মৃত মানুষদের ভস্মাস্থি খেয়ে নিলে সেইসব মানুষের আত্মারাও তাদের সঙ্গে থেকে যান। শুধু তাই নয়, সেইসব আত্মা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়ে যায়।

সেই সঙ্গে, ইয়োনামামিদের বিশ্বাস, সঞ্চারিত হয় সেইসব মানুষের জ্ঞান-প্রজ্ঞা-ক্ষমতাও। পরিণামে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ গোষ্ঠীটিই। মৃত পূর্বপুরষের আত্মাকে এরা ক্ষতিকর বলে মনে করেন না।

বরং তাদের সহযোগিতাই এদের এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে শক্তি জোগায়। অতীতের ভিত্তির উপরে ভবিষ্যতকে নির্মাণ করার এই অদ্ভুত কৌশল আজও প্রচলিত রয়েছে ইয়ানোমামিদের মধ্যে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ