বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

অন্যের প্রশংসা কেন করবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jazakallahআওয়ার ইসলাম: কারো প্রশংসা করতে আমরা প্রায়ই কার্পণ্য করে থাকি৷ স্বীকৃতি বা প্রশংসা শুধু কাজে উৎসাহই দেয়না, মানসিকভাবেও একজন মানুষকে করে শক্তিশালী৷ এমনটাই বলছেন জার্মান মনশ্চিকিৎসক৷

স্বীকৃতি মানসিক শক্তি দেয়

রোজগারের জন্য বা নিজের ঘরে কত কাজই না মানুষকে করতে হয়৷ তবে কিছু কাজের স্বীকৃতি বা প্রশংসা কাজ করার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়৷ তাছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ থাকা বা শক্তিশালী হওয়ার জন্যও এই স্বীকৃতিটুকু দরকার৷ প্রশংসা, স্বীকৃতি মনের শক্তি জোগায়৷ একথা জানান জার্মান মনশ্চিকিৎসক ও লেখক ভল্ফগাং ক্র্যুগার৷

প্রশংসা গ্রহণ করুন

অনেকে আবার প্রশংসা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন না৷ যেমন ‘‘এই ড্রেসটা খুব সুন্দর, তোমাকে খুব মানিয়েছে-’’ এরকম প্রশংসার উত্তরে কেউ কেউ হয়তো খুশি না হয়ে পাল্টা বলেন, ‘‘ড্রেসটা খুব সস্তায় কিনেছি৷’’ এরকম উত্তর আসলে দুঃজনক৷ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ‘‘বরং আনন্দিত হয়ে, মিষ্টি হেসে বলুন, ‘ধন্যবাদ’৷ এতে প্রশংসাকারীও কিন্তু খুশি হবেন৷ তাছাড়া প্রশংসা কিন্তু সম্পকর্কে মজবুতও করে৷’’

কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি

পদোন্নতি বা বেতন না বাড়লেও অনেকেই কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজ করে থাকেন৷ এতে লাভবান হয় কোম্পানি বা অফিসই৷ তাই এ ক্ষেত্রে একটু প্রশংসা বা কাজের স্বীকৃতি কর্মীদের কাজের আগ্রহ বাড়িয়ে দিতে পারে৷ অন্যথায় কাজের আগ্রহ কমে এক সময় মানসিকভাবে অসুস্থ হতে পারেন৷ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে দ্বিতীয়টিই ঘটছে আজকাল বিশ্বের প্রায় সর্বত্র৷

প্রশংসা করা কী শেখা যায় ?

অবশ্যই শেখা যায়৷ ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী বা প্রতিবেশীদের মধ্যে কার কী গুণ আছে তা নিয়ে আলোচনা করুন৷ মাঝে মধ্যে অবশ্যই সেগুলো নিয়ে প্রশংসা বা ইতিবাচক মন্তব্য করতে পারেন৷ তবে অন্যের ভুল-ক্রুটি নিয়ে আলোচনা না করে বরং গঠনমূলক সমালোচনা করা যেতে পারে, কারণ, এতে সকলেরই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

প্রশংসা সকলের জন্যই

পরিবারের মধ্যে একে অপরের ভুল-ত্রুটি ধরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়৷ বরং এর বদলে মাঝে মাঝে প্রশংসা করতে পারেন, দেখবেন, এতে একে অপরের মধ্যে সম্পর্ক মধুর হবে, সহজ হবে৷ জানান ডা. ক্র্যুগার৷

সন্তানের প্রশংসা করতে দ্বিধা করবেন না

অনেক মা-বাবা আছেন, যাঁরা সহজে নিজের সন্তানের প্রশংসা করতে চান না৷ মাঝে মধ্যে সন্তানের ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করুন, দেখবেন এতে নিজেরাও প্রশংসিত হবেন৷ আর এতে সম্পর্কও হবে সহজ, সুন্দর৷

সূত্র: ইন্টারনেট


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ