বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

তিন শ্বেতাঙ্গের হাতে হেনস্থা মুসলিম মার্কিন শিক্ষার্থী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hijabআওয়ার ইসলাম: ফের হিজাব পরা এক মুসলিম ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠল আমেরিকায়। ডোনাল্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই ধরনের যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে এটি নতুন সংযোজন। ম্যানহাটন যাওয়ার পথে সাবওয়ে ট্রেনের মধ্যেই ওই মুসলিম ছাত্রীকে কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ যুবক হেনস্তা করে। তারা সকলেই মদ্যপ ছিল বলে ছাত্রীটির অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের নামে ধ্বনি তুলে তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। ‘জঙ্গি’ অ্যাখ্যা দিয়ে তার হিজাবও খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন ছাত্রীটি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকার ঘৃণ্য অপরাধ দমন শাখা। ট্রেনের মধ্যে গোপন ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের সন্ধান চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। ইয়াসমিন সৌদ নামে ওই ছাত্রী সাবওয়ের ট্রেনে চেপে ম্যানহাটনে যাচ্ছিলেন। পুলিশকে ইয়াসমিন জানিয়েছেন, তাকে লক্ষ্য করে তিনজন শ্বেতাঙ্গ যুবক এগিয়ে আসে। তারা বারবার ট্রাম্পের নাম করে হাসতে থাকে। এবং তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তিনি ট্রেনের অন্যদিকে চলে গেলেও যুবকরা তাঁর পিছু নেয়। ফের তাঁর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মস্করা জুড়ে দেয়। ইয়াসমিনের কথায়, এর পর আমি তিতিবিরক্ত হয়ে ওদের বলি, প্লিজ আমাকে একটু একা থাকতে দিন। ওরা তাতে কোনও কর্ণপাত না করেই হাসতে থাকে। আমার হিজাব টেনে ধরারও চেষ্টা করে। আমাকে জঙ্গিও বলতে ছাড়েনি ওরা। ওরা খুব সম্ভবত মদ্যপ ছিল।

ডিসেম্বরের প্রথমেই প্রকাশ্যে হিজাব পরা এক মুসলিম ছাত্রী হেনস্তার শিকার হন ইউনির্ভাসিটি অব ওয়াশিংটন-এর ক্যাম্পাসে। প্রকাশ্যে ওই ছাত্রীর সামনে মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করে উত্ত্যক্ত করে কয়েকজন যুবক। তার পরই ইয়াসমিনের ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান।

ইয়াসমিনের অভিযোগ, আমাকে যুবকদের হাতে এভাবে হেনস্তা হতে দেখেও ট্রেনের কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। আমি অবাক হয়ে গিয়েছি! ইয়াসমিনের বাবা-মা মিশরীয়। তার জন্ম আমেরিকাতেই। ইয়াসমিন ওই শ্বেতাঙ্গ যুবকদের কাছে নিজের পরিচয়পত্র দেখিয়ে এও বলেছিলেন, আমি একজন আমেরিকান। আমি আমেরিকায় জন্মেছি, এখানেই বড় হয়েছি। কিন্তু ওরা আমার কোনো কথাই শোনেনি। বরং আমি ট্রেনের অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ওরা আমার পিছু নেয়। সেখানেও আমাকে চরম হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয়। পরে ট্রেন থেকে নেই ইয়াসমিন সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

এম কে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ