বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

পুরুষ মশারা মানুষকে দংশন করে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বশির ইবনে জাফর

mosqutoগ্রাম কিবা শহরে শিশু থেকে শুরু করে যুবক বৃদ্ধসহ প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছেই মশার কামড় একটি অসহ্য যন্ত্রণার নাম।

মায়েরা তাদের আদরের শিশুটিকে মশার কামড় থেকে আগলে রাখতে কত চেষ্টাই না করেন। বাজার ছেয়ে আছে মশা নিধনের কতো সরঞ্জাম। শুধু কি তাই? মশার কামড় থেকে বাঁচতে কয়েল কিংবা মশারীর আশ্রয় নেন না এমনই বা লোকই বা পাওয়া যাবে কয়জন।

অথচ এই মশা সম্পর্কে একটি আশ্চর্য সত্য আমরা অনেকেই জানি না।

আমরা মনে করে থাকি মশাদের খাদ্য শুধুই মানুষের রক্ত।

কিন্তু না। জীববিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরুষ মশারা কখনো মানুষকে কামড়ায় না। রক্তপান করে বেঁচে থাকার দরকার হয় না তাদের।
রক্ত শুধু স্ত্রী-মশকীরাই পান করে।

তাদের কেন তবে রক্তের প্রয়োজন হয় এ বিষয়টিরও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন জীব বিজ্ঞানীগণ।

গবেষণায় দেখা গেছে, স্ত্রী-মশা তাদের ডিম্বাণুর পরিস্ফুটনের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধির জন্য নিজ দেহকে উষ্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এ কারণে তারা তাদের খাদ্য হিসেবে উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণীদের দংশন করে সে রক্ত পান করে।

আর ঠিক একারণেই দেখা যায় বহুল পরিচিত ম্যালেরিয়া রোগটি Anopheles গণভুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির মশকীর মাধ্যমেই বিস্তার লাভ করে। তারা তাদের লালায় এ রোগ বহন করে এবং যখন মানুষের রক্তপান করে তখন জীবাণুটি মানুষের রক্ত স্রোতের মধ্য দিয়ে মাত্র ত্রিশ মিনিটেই যকৃতে পৌঁছে যায় আর এভাবেই স্ত্রী মশা’র কামড়ে একজন মানুষ ম্যালেরিয়াক্রান্ত হয়।

এখন প্রশ্ন থেকে যায় পুরুষ মশারা তবে খাদ্য হিসেবে কী গ্রহণ করে। বিজ্ঞানীর গবেষণায় এ বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে যে পুরুষ মশারা খুবই সৌখিন প্রজাতির। তারা ফুলের মধু বা এধরণের অন্যান্য উৎস হতে খাবার সংগ্রহ করে এবং কখনোই মানুষকে দংশন করে না।

শিক্ষার্থী- বিজ্ঞান বিভাগ, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ঢাকা।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ