বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ধর্ষণের দায়ে সাত এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১০ জন কারাগারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের দায়ে কুড়িগ্রামে পর্নোগ্রাফি আইনে সাত এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ গ্রেফতার হওয়া ১০ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমানের আদালত তা নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে গোপনে তা ভিডিও করার পর মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হলে ১০ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রধান আসামি রাশেদুল ইসলামসহ ৭ জন এইচএসসি পরিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, রাশেদুল নাগেশ্বরী উপজেলার হোসেন আলীর ছেলে। সে সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ওই কিশোরীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে রাশেদুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে তার এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। ওই দৃশ্য আবার গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাশেদুলের বন্ধুরা। পরে তা মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং রাশেদুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাশেদুল ভিডিও চিত্রটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। পরে বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে জানায়। রবিবার (৩ এপ্রিল) ওই কিশোরীর মামা সদর থানায় রাশেদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম জানান, রাশেদুলকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ৩৭ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, প্রধান আসামি রাশেদুলকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে এবং বাকিদের শুধু পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এসএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ