বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

স্টিফেন প্যাডককে কেন উগ্রবাদী বা সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে না?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: আমেরিকার লাস ভেগাসের একটি কনসার্টে গুলি চালিয়ে ৫৯ জনকে হত্যা করেচেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী স্টিফেন প্যাডক। কিন্তু গণমাধ্যম বা নেতৃস্থানীয়রা তাকে সন্ত্রাসী বলতে নারাজ। তারা তাকে নিঃসঙ্গ শিকারী আখ্যা দিচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনলাইন এক্টিভিস্টরা জোর দাবি জানিয়ে বলছেন, এটা একটা বৈষম্য, কেবল মুসলিমরা কিছু করলে সেটাকে জঙ্গিবাদী বা সন্ত্রাসবাদী বলা হয়। আর অন্য ধর্মাবলম্বীরা করলে সেটা হয়ে যায় ‘হতাশা গ্রস্ততার শিকার কিংবা বিকারগ্রস্ত মানুষ’।

বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবে বসবাসকারী ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, অমুসলিম যতোবড় হত্যাকারীই হোক, সে সত্যি সত্যি কিলার নয়, জাস্ট মজা করে করেছে। অথবা মানসিক রোগী ছিল কিংবা তার বংশে পাগলের ইতিহাস আছে। এককথায়, মূলত: সে নিরীহ, নির্দোষ ও মাসুম বাচ্চা। এসব গদ এখন মোটামুটি সবারই মুখস্ত।

পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক সেন্টারে কর্মরত শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও লিখেছেন, লাস ভেগাসে উন্মুক্ত কনসার্টে গুলি চালিয়ে একাই ৫৯ জনকে হত্যাকারী খৃস্টান ধর্মাবলম্বী স্টিফেন প্যাডক সম্পর্কে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, তার বংশে মানসিক রোগের ইতিহাস আছে। সংবাদ রয়টার্সের।

মজার বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র যেখানে বলছে, এর সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পর্ক নেই। অথচ যথারীতি যে কোন সন্ত্রাসী ঘটনার মতো এবারও 'আইএস' এর মুখস্ত দায় স্বিকার শোনা গেলো। একই ঘটনা কতো কিছু যে শেখায়! কিন্তু আমরা কি শিক্ষা নেই?

ঢাকার এক মাদরাসা শিক্ষক ফাহিম সিদ্দিকী ফেসবুক ইউজারদের সামনে প্রশ্ন রেখে লিখেছেন, লাস ভেগাস শুটারের নাম স্টিফেন প্যাডক, বয়স ৬৪। ৫৮ জনের খুনি এ লোকের ধর্ম সম্পর্ক কেউ প্রশ্ন তুলবে কি?

এদিকে হামলার পর পর নির্বাসিত বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনের দেয়া স্ট্যাটাসকে ব্যাঙ্গ করে গাজী আশরাফুল লিখেছেন, স্টিফেন প্যাডক আগের জন্মে মুসলিম ছিলো (তসলিমা নাসরিন)। যুক্তি- মুসলিম ছাড়া কেউ আমেরিকার লাস ভেগাসে হামলা করার সাহস করতে পারে না।

তসলিমা নাসরিন ওই হামলার পর পরই টুইট করেছিলেন এটা কাদের হামলা? মুসলিম ছাড়া এটা কেউ কতে পারে না। পড়ে হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া গেলে তিনি ভুল স্বীকার না করেই স্ট্যাটাসটি মুছে দেন।

এদিকে একই বিষয়ে ফেসবুকার আসিফ রায় চৌধুরী আমেরিকার সাদা কালো বৈষম্যের প্রতি ইঙ্গিত করে লিখেছেন, স্টিফেন প্যাডককে সন্ত্রাসবাদী বলা যাবে না, কারণ তিনি সাদা আমেরিকান। সন্ত্রাসবাদী হতে গেলে গায়ের রঙ কালো বা বাদামী হতে হবে, মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলে খুব সহজেই তাকে সন্ত্রাসবাদী বলা যাবে।

বিশ্ব মিডিয়াকে ব্যাঙ্গ করে মুহাম্মদ তারেক লিখেছেন, মার্কিন ইতিহাসে বড় হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে গতকাল। দেশটির লাস ভেগাসে 'স্টিফেন প্যাডক’ নামের এক বন্দুকধারী এই হত্যাকাণ্ডটি চালায়। এই হত্যাকাণ্ডে হত্যাকারি ‘আল্লাহু আকবার’না বলায় আফসোস জানিয়েছে বিশ্ব মিডিয়া!

ঠিক এভাবেই ধর্মভেদে হত্যাকারীদের মধ্যে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া আর না দেয়া নিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। আইন সবার জন্য সমান না হওয়ার এ বৈষম্য এবং অপরাধপ্রবণতা বিস্তৃত হতে থাকবে বলেও তাদের অভিমত।

লাস ভেগাসে হামলাকারী একজন খ্রিস্টান, পেশাদার জুয়ারি

বিস্ময়কর! মাত্র ২ মাস ২৬ দিনে হাফেজ হলো কক্সবাজারের আরাফাত


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ