বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ ।। ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৯ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ হজযাত্রীদের সবধরনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ সৌদি যুবরাজের নারী কমিশন ইসলামিক চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে পুনর্গঠন করতে হবে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসলামী আন্দোলন আইসক্রিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো? অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে ইসলামী আন্দোলনের ঐকমত্য, কয়েকটিতে দ্বিমত কোনো সন্ত্রাসী যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে: আইজিপি পল্টনে কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কার্যকরী সদর দফতর উদ্বোধন পরিবারের ১০ সদস্য হারিয়ে বললেন- ‘আমিও যদি সুখী কাফেলায় শরিক হতাম!’

নীলফামারীতে ৫ লাখ রোগীর জন্য ৭ জন চিকিৎসক!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নীলফামারীতে মাত্র ৭ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে ৫ লাখ মানুষের একটি সরকারি হাসপাতাল। পাশাপাশি কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রোগীরা।এমনটিই জানা গেছে সরেজমিনে গিয়ে।

এদিকে প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। রোগীদের কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। অথচ আজও বাড়েনি কাঙ্খিত সেবার মান। মাত্র ৭ জন চিকিৎসক ও ৭ জন নার্স দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই হাসপাতালটি।

একজন রোগী বলেন, ঠিকমত ওষুধ দিচ্ছে না। পাশাপাশি ডাক্তারেরও অনেক সংকট। আমাদের জটিল কোনো রোগের জন্য এখানে আসলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। কারণ এখানে সেরকম যন্ত্র বা বিশেষজ্ঞ নেই।

হাসপাতালের একজন কর্তৃপক্ষ বলেন, জনবল সংকট ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অভাবে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

একজন নার্স বলেন, ওয়ার্ড বয়, আয়া পর্যাপ্ত না থাকায় অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আমরা দিতে পারছি না।

নীলফামারী জলঢাকা ৫০ শয্যা হাসপাতাল আরএমও ডা. দেবাশীষ রায় বলেন, আমাদের ৫০ হাজার যে জনবল রয়েছে সেটা পূরণ করার মতো লোক দিলে আমরা ভালো সার্ভিস দিতে পারবো।

নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেড এ সিদ্দিকী বলেন, সীমিত সংকট জনবল দিয়ে আমাদের সার্ভিস আমরা জনগণকে সন্তুষ্ট করতে পারবো। জনবল আরও বাড়বে আমাদের সার্ভিস আরও ভালোভাবে দিতে পারব।

সরকারি বরাদ্দ পেলে হাসপাতালের জনবল সংকট ও অন্যান্য সেবার মান বাড়ানোর আশ্বাস দিলেন সিভিল সার্জন।

হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ৫শ’ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের কাঙ্খিত সেবার জন্য প্রয়োজন ২১ জন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্স।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ