বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

জুতো দিয়ে ভোট চাইছেন প্রার্থী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এক মনে হন্তদন্ত হয়ে ছুটছেন তিনি। একহাতে নির্বাচনি ইশতেহার, অন্য হাতে জুতো। সামনে যাকেই পাচ্ছেন ইশতেহার দেখিয়ে ভোট চাইছেন। একইসঙ্গে ভোটারের হাতে জুতো তুলে দিয়ে বলছেন, জয়ের পরে কথা না রাখলে জুতোপিটা করতে।

এই প্রার্থীর নাম আকুলা হনুমন্ত। তেলেঙ্গানা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি। প্রচারণায় অভিনব পদ্ধতিতে ভোট চাওয়ার সূত্রে তিনি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন।

টুইটারে ভাইরাল এক ভিডিও-তে দেখা যায়, আকুলা হনুমন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন, জুতো হাতে। ভোটারের দরজায় গিয়ে তিনি একটা জুতোর প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন। আর দিচ্ছেন ইশতেহার। সেই ইশতেহারে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা রাখতে না পারলে তাকে জুতোপেটা করার কথা জানাচ্ছেন।

ভোটবাক্সে উতরে গেলে কে আর মনে রাখে ভোটারদের। এটাই বাস্তবতা এখন। সেই ধারণায় পরিবর্তন আনার বার্তাও দিচ্ছেন তিনি।

আকুলা হনুমন্ত বলছেন, ভোটে জিতলে তিনি সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে দেখাবেন। আর প্রতিশ্রুতি না রাখলে মানুষের হাতে জুতোপেটা খাবেন।

আকুলা হনুমন্ত বলেন, ‘যারা ভোট দেন, তারা ভগবান। প্রতিশ্রুতি না রাখতে পারলে জুতোপেটা করার সম্পূর্ণ অধিকার তাদের আছে। কাজ না করলে জনতার ক্ষোভ মেনে নিতেই হবে প্রার্থীদের।’

তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির বিদ্যাসাগর রাও আকুলার প্রতিদ্বন্দ্বী। জাগতিয়াল জেলার করুটলা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তিনি। তিনি এবার যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিপক্ষের কপালে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তেলেঙ্গানা বিধানসভা ভেঙে দেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ওই সময় তিনি সুপারিশ করেন, বছর শেষে রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও মিজোরামের সঙ্গে তেলেঙ্গানা বিধানসভার ভোট করা হোক। চন্দ্রশেখর রাওয়ের সুপারিশ রাজ্যপাল গ্রহণ করেন।

এরপর অক্টোবরের শুরু থেকে নামিদামি প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নামতে শুরু করেন।

সূত্র– দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও ওয়ান ইন্ডিয়া


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ