সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ ৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০

বশেমুরবিপ্রবিতে প্রশ্ন ফাঁসের চক্রের ১০ সদস্য আটক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের দায়ে ১২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত ১০ টায় তাদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

জানা যায়, 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার পূর্বে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট জব্দ করে তিন লক্ষ টাকার চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার পরিকল্পনা করেছিলোে একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজয় দিবস হলের ৫১২ নম্বর কক্ষে একটি অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় কক্ষটি থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের তিন সদস্য এবং পাঁচ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই চক্রের আরও চার সদস্যকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে সাত জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মুহা. রনি খান, আইন বিভাগের মানিক মজুমদার, অমিত গাইন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুহা. নেয়ামুল ইসলাম, মুহা. নয়ন খান, মমিনুল হক এবং মুহা. মুরছালিন হক।

আটককৃত পাঁচ পরীক্ষার্থী হলেন- শেরপুর জেলার মুহা. সোলাইমান, মাহফুজ আজাদ কাউসার, বরিশালের তরিকুল ইসলাম সৈকত, সাগর আহমেদ এবং চুয়াডাঙ্গার আবির হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মূল হোতা হিসেবে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী বাবুল শিকদার বাবুর নাম উঠে আসে। তবে তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানান, অনিয়মের দায়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। চক্রের সদস্যরা প্রতারণা করার জন্য এগুলো করেছিলো।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের হাতে ১২ জনকে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ