সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০ চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ

সমাপ্ত হলো বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়’র (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শুরু হওয়া আন্দোলন প্রায় দুই মাস ধরে চলার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বুধবার বুয়েটের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

সব দাবি মেনে নেয়ায় সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে তারা আগামী ২৮ ডিসেম্বর আসন্ন টার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানান।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান সায়েম।

এদিকে গত সোমবার রাতে র‌্যাগিং ও ছাত্র রাজনীতির সর্বোচ্চ শাস্তি চিরতরে বহিষ্কার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির সব কটি পূরণ হলো।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। এরপর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর থেকে আন্দোলনে নামেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ