বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

চলে গেলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী এক আলেম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জহির উদ্দিন বাবর ।।

মুফতী মুহাম্মদ ইদরীস কাসেমী। দারুল উলূম দেওবন্দের মুঈনে মুফতী হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান সহিহ বুখারির বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘কাশফুল বারী শারহু সহীহিল বুখারী’ এর রচয়িতা তিনি।

প্রায় ১৭ বছরে রচিত উর্দু ভাষায় ৩২ খণ্ডের বিশাল এই ব্যাখ্যাগ্রন্থটির কারণে তিনি উপমহাদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। পরে সেই ব্যাখ্যাগ্রন্থটি নিজেই বাংলা ভাষায় রূপান্তর করেন।

একটি বিশাল গ্রন্থের মূল লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, বিক্রেতা সবই তিনি ছিলেন। বলা যায়, তাঁর গোটা জীবন দিয়েছেন এর পেছনে।

আমি যখন দারুর রাশাদে ছিলাম প্রায়ই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে, থাকতেন মিরপুরে। অত্যন্ত সহজ-সরল ছিলেন। মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকত।

তাঁকে দেখে বোঝা যেত না, এতো বিশাল ইলমি খেদমত তিনি আঞ্জাম দিয়েছেন। দেখা-সাক্ষাতে সবসময় বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ নিয়েই আলোচনা করতেন। প্রতিটি খণ্ড ছাপা এবং বাজারজাত করার পেছনে তাঁকে প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে।

এমন বিরল প্রতিভার আলেম বাংলাদেশে খুব কমই আছেন। আল্লাহ তাঁর খেদমতগুলো কবুল করে নিন। তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন। আমিন।

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ  ইসলামী লেখক ফোরাম । 

(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া )

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ