বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ময়লা কুঁড়ানোর টাকা জমিয়ে হজে গেলেন ৬৪ বছরের বৃদ্ধা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর আলফারুক।।

প্রত্যেক মুসলমান কাবার স্বপ্ন হৃদয়ে লালন করলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষমতা সকলের হয় না। কেউ হজের টাকা জোগার করতে না পেরে সেই স্বপ্ন তোলে দেন আল্লাহ তাআলার হাতে। আবার কেউ কেউ পরম প্রভুর ঘর জিয়ারতের জন্য জীবনের সবচেয়ে মহান কোরবানি দিতেও তৈরি হয়ে যান। তারা সারা জীবন অল্প অল্প করে জমাতে থাকেন অর্থ-কড়ি। ইন্দোনেশিয়ান এই বিধবা মহিলা তেমনি একটি অনুপ্রেরণা।

৬৪ বছর বয়স্ক ইন্দোনেশিয়ান বৃদ্ধা মারইয়ানি ২৬ বছর ধরে হজের জন্য টাকা জমান। এই টাকা তিনি জোগার করেন পুরাতন জিনিসপত্র কুঁড়ানোর পর তা বিক্রি করে।

জীবনের ২৬ টি বসন্ত তিনি পার করে দিয়েছেন তার স্বপ্ন বিনির্মাণে। আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ের আকুতি শুনেছেন। মারইয়ানির স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে অবশেষে।

হজের ভিসা পাওয়ার পর মারইয়ানি আনাদোলো এজেন্সিকে জানান, তার আজীবনের স্বপ্ন ছিলো একবার হজ করার, তাওয়াফ করার, হজরে আসওয়াদ চুমু খাওয়ার। ১৯৮০ সালে তার স্বামী মারা গেলে তার এই আখাঙ্খা আরও তীব্র হয়।

চার সন্তান নিয়ে তিনি খুব একাকী হয়ে পড়েন তখন। জীবিকার তালাশে শেষমেশ হাইওয়ে-বিশ্বরোড থেকে রিসাইকেলেবল জিনিসপত্র যেমন, কার্ডবোর্ড, প্লাস্টিকের বোতল, ক্যান এবং কাপ ইত্যাদি কুঁড়িয়ে রিসাইকেল করা কোম্পানির কাছে বিক্রি করা শুরু করেন।

মারইয়ানি বলেন, তিনি প্রতিদিন শেষ রাত থেকে ফজর পর্যন্ত বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে এসব কুঁড়াতেন।

১৯ বছর পর। ২০১২ সালে তিনি ২৫ মিলিয়ন রুপিয়া সঞ্চয়ে সক্ষম হন। ইন্দোনেশিয়ায় তখন হজ করতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে পঁচিশ মিলিয়ন জমা করতে হতো। এরপর তিনি আরও ১০ মিলিয়ন জমা করেন।

ইতোমধ্যে তার সন্তানেরা তাকে সাহায্য করতে সক্ষম হয়ে গেলেও তিনি তাদেরকে তার পরিকল্পনা জানাননি। তিনি নিজ খরচায় হজব্রত পালন করতে চেয়েছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে অনুমেদ পত্র পাওয়ার পর তার অভিবক্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৬ বছর খুব কম সময় নয়। আমি আমার অিস্তিত্বের সবটা দিয়ে দিয়েছি এই স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করেছি এবং একবারের জন্যেও হাল ছাড়িনি। এই স্বপ্ন বাস্তব হতে কত দিন লাগবে আমি জানতাম না। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো আল্লাহ তাআলা আমার এই স্বপ্ন পূরণ করবেন।

-আনাদোলো এজেন্সি থেকে ওমর আলফারুকের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ