বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আলেম সমাজের প্রতি সাইফুর সাগরের আবেগঘন আবেদন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব:  ফেস দ্য পিপল নামক টকশোর সঞ্চালনা করে বেশ আলোচনায় আছেন সাইফুর সাগর। বিশেষ করে কিছুদিন আগে করা ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও শাহরিয়ার কবীরের অনুষ্ঠানটি দেশ-বিদেশে বেশ আলোচিত হচ্ছে সর্বমহলে। আলোচনা-সমালোচনার ধারাবাহিকতায় এবার এ বিষয় নিয়ে আলেম সমাজকে কিছু বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন ফেস দ্য পিপল এর সঞ্চালক সাইফুর সাগর।

তিনি ফেস দ্য পিপল এর অফিসিয়াল পেজে বলেন, আল্লামা এনায়েত উল্ল্যাহ আব্বাসী এবং জনাব শাহরিয়ার কবির সাহেবের যে টকশোটি সারা দেশ কাঁপিয়েছে , সেটি থেকে দৃশ্যমান একটি প্রাপ্তি আমাকে আনন্দিত করেছে। অনেক মানুষ আমাকে কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছে। কারণ , বর্তমান সময়ে সারা দেশে ওয়াজের সিজন চলছে। দেশের মুক্তিকামী ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমরাও প্রচন্ড ভাবে ধর্মীয় আচারের প্রতি ধাবিত হচ্ছে।

বিশেষ করে যুব শ্রেণীর ছেলে মেয়েদের মাঝে পরিবর্তনটি লক্ষণীয় ভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে। পরিপ্রেক্ষিতে আলেম সমাজের মাঝে অভ্যন্তরীণ যে আক্বিদা গত ফেৎনা সাধারণ মানুষকে বিভক্ত করে রেখেছিলো তা আরো চরম আকার ধারণ করেছিল। বিখ্যাত ওয়াজেনগণ বিভিন্ন সভায় একে অপরের প্রতি জঘন্য ঘৃণা ও আক্রমণাত্মক ভাষা প্রয়োগ করার এক রকম প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। আর এই ফেৎনার সুযোগ নিতে শুরু করেছিল তৃতীয় পক্ষ। বিভিন্ন ভাবে উস্কে দিয়ে এই কৃষ্টিকে নস্যাৎ করবার সকল অপচেষ্টা শুরু করেছিল।

বিধি বাম, এরই মাঝে ফেস দ্যা পিপল এ আমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হলো ইতিহাসের সবচে আলোচিত টকশোটি। আর চমৎকৃতভাবে সেদিনের পর থেকে আলেম সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে । ওয়াজে সবাই ভালোবাসা আর পরস্পরের প্রতি সন্মান বোধ এর কৃষ্টি শুরুর আহবান করতে আহবান জানানো হলো।

একটি সমাজ বা জাতির মাঝে কোনো বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো শুধুই ইতিহাসে পড়েছি আর শুনেছি। কিন্তু আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার উসিলায় এমন একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন এর শুরু হবে তা কখনোই ভাবিনি। জানিনা আলেম সমাজে এই ঐক্যবদ্ধতা কদিন থাকবে . তবে একদিনের জন্য হলেও এমন নৈতিক পরিবর্তন আমার জীবনের শ্রেষ্ট অর্জন বলে আমি মনে করি।
ঘৃণা থেকে ভালোবাসার দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ছিল আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা. এর। তাঁর পথেই যদি সবাই পরিচালিত হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে থাকি। তাহলে আমি আহবান করবো , হে প্রিয় আলেম সমাজ আপনাদের মাঝে সাধারণ মানুষ বিভক্তি চায় না।

আপনারা শান্তির পথটিকে সুগম করে নিন। একটি সুন্দর, ঘৃণাহীন সমাজ তৈরিতে ভূমিকা রাখুন। চিহ্নিত করুন কারা বিভক্তি রাখতে চায়। তাদেরকে শান্তির সমাজ থেকে বহিস্কার করুন। কারণ , শয়তান তো আমাদের সমাজেরই অংশ। মনে রাখবেন,
"কোনো আলেম অপরাধী হতে পারেনা, কোনো অপরাধী আলেম হতে পারেনা " শান্তির খোঁজে মহাস্রোতের মতো ছুঁটে আসা সরল মানুষগুলোকে নিরাশ করবেন না। আপনাদের প্রতি আস্থার সংকট তৈরী হলে ধ্বংস অনিবার্য্য। আমি সামান্য একজন গুনাহগার মুসলমান। জানিনা আমার এই আহ্বান আপনাদের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা? তবুও এই খোলা আহবান সবার প্রতি ছেড়ে দিলাম।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ