বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

হিজাব দিবস পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আশলির ইসলাম গ্রহণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: হিজাব দিবস পালন করতে গিয়ে ইসলামের আলোয় আলোকিত হোন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আশলি। ২০১৯ সালে জুনে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল বাইবেল বেল্ট অঙ্গরাজ্যের আরকানসাসে বেড়ে ওঠেন তিনি। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান হওয়ায় সবাই নিয়মিত গির্জায় যাওয়া-আসা করতো। তাই ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আশলির জানার সুযোগ ছিল না। কলেজে পড়াশোনা করতে গিয়ে ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভিন্ন বর্ণের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয় তার।

একবার এক অনুষ্ঠানে আশলি যোগ দেন। তাতে আমেরিকান শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেছিল। সৌদি বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আশলির বন্ধুত্ব তৈরি হয়। উভয়ের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধু হলেও উভয়ের মধ্যে ধর্ম নিয়ে তেমন কোনো কথা হয়নি। আশলি ধর্ম নিয়ে নানা প্রশ্ন তুললেও খুব বেশি কথা হয়নি।

ধর্ম বিষয়কে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনি। পরবর্তী পড়াশোন শেষ করে সৌদি বন্ধু দেশে ফিরে যান। পরের বছর আশলি কলেজে পাঠ সম্পন্ন করেন। হিজাব দিবসের আগের রাতে আশলি হিজাব দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নেন। হিজাব দিবস পালন করে আশলি সবার কাছে বিশেষত মুসলিমদের কাছে খুবই প্রশংসিত হোন।

বিশ্ব হিজাব দিবস উদযাপনের অ্যাম্বাসাডর হন আশলি। ২০১৮ সালে নিজ উদ্যোগ একটি ইভেন্টের পরিকল্পনা করেন। স্থানীয় মসজিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও বৈঠক করেন। তখন এক লোক আশলিকে কোরআনের দুই কপি উপহার হিসেবে দেন। বৈঠকের আগে লোকটি বলেছিল, ‘আপনি জানবেন, মিডিয়া আমাদের ধর্মকে ভুলভাবে চিত্রায়ণ করে।’ এ কথা আশলিকে মর্মাহত করে। এরপর তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

অতঃপর আশলি ৩০ দিনের হিজাব চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করেন। প্রথমবার আশলি রমজান পালন করেন। ইসলাম সম্পর্কে যতই জানছিলেন ততই নিজের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন অনুভব করেন তিনি। একদিন তিনি নিজ বন্ধুকে ইবাদত করার পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। রমজানের শেষপর্যায়ে এসে ইসলামের প্রতি তীব্র ভালোবাসা উপলব্ধি করেন। রমজানের শেষ দিন আশলি কলেমা পাঠ করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সূত্র : ইন্টারনেট

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ