বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ভিন্নমত দমনে ফেসবুকে গালাগাল নয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: যা কিছু নিজের মতের বিরুদ্ধে যায় তাকেই বলে ভিন্নমত। দুনিয়ার সব মানুষ নিজের মত হবে- এমনটা ভাবা উচিত না। ভিন্নমত থাকতেই পারে। ভিন্নমত নিয়েই সমাজের পথচলা। এখানে নিজের মতের বিরুদ্ধে গেলেই তাকে দমন করতে হবে। এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

আর যদি কখনো কাউকে নিজের মতের বিরুদ্ধে পাওয়া যায় আর তাকে দমন করতেই হয় তাহলে ভদ্রাচিতভাবে করা প্রয়োজন। এটাই ইসলামের শিক্ষা। অন্যকে গালি দেওয়া বা অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা কোনো মুমিনের কাজ হতে পারে না। মুমিন তো ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেও মার্জিত ভাষায়, ভদ্র ও সংযতভাবে কথা বলবে। কিন্তু কিছু মানুষ রাগান্বিত হলে অন্যকে অশ্লীল ও শ্রুতিকটু বাক্যবাণে নাজেহাল করে। অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। আমরা সাধারণত পান থেকে চুন খসলেই মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বসি। অন্যকে দোষারোপ করি, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করি। এ ধরনের কাজ একজন মুমিনের জন্য কখনো শোভা পায় না। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপদাতা, অশ্লীলভাষী ও গালাগালকারী হয় না। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪৩)।

ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যকে গালি দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। কিন্তু আগেতো সোস্যাল মিডিয়া ছিলো না। ছিলো না ফেসবুক টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তাই হয়তো গালাগালির পরিধি সীমাবদ্ধ ছিলো। মুখোমুখি পর্যন্তই ছিলো গালাগালির প্রক্রিয়া।

কিন্তু বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম বিশেষত ফেসবুকে যেভাবে গালাগাল করা হয় এটা খুব ভয়ানক আকার ধারণ করছে। এর থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি ও তার সঙ্গে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৪৫, ৭০৭৬; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৩)।

তাই আমাদের উচিত ফেসবুকের কোথাও কমেন্ট করার ক্ষেত্রে মার্জিত ভাষায় কমেন্ট করা। কেউ খারাপ কমেন্ট করলেও নিজেকে সংযত রাখা। কারণ এ ধরনের পরিস্থিতি বা কমেন্টে বাগিবতণ্ডায় লিপ্ত হলে তা লড়াই ঝগড়ায় গড়ানো স্বাভাবিক। কিন্তু হাদিসে এ ধরনের ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে।

আমাদের উচিত কারো সঙ্গে এমন ব্যবহার করে ফেললে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। কারণ মানুষের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করা ও তার সম্মানহানি করা জুলুম। কঠিন কেয়ামতের দিন ক্ষুদ্র একটি জুলুমও মানুষকে জাহান্নামের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার (কোনো মুসলিম) ভাইয়ের সম্মান নষ্ট করেছে অথবা কোনো বিষয়ে জুলুম করেছে, সে যেন আজই (দুনিয়াতে) তার কাছে (ক্ষমা চেয়ে) হালাল করে নেয়। ওই দিন আসার আগে, যেদিন দিনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না। তার যদি কোনো নেক আমল থাকে, তবে তার জুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী তা থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি তার কোনো নেকি না থাকে, তবে তার সঙ্গীর পাপরাশি তার (জালেমের) ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৯৩৩২)।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ