সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ ৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০

২৬ বছর পর পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় চালানো গণহত্যার দায় স্বীকার ম্যাঁক্রোর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডা গণহত্যার দায় স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রুয়ান্ডা সফরের সময় কিগালি জেনোসাইড মেমোরিয়ালে দেওয়া বক্তৃতায় এই দায় স্বীকার করেন ম্যাক্রো।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনায় নিজ দেশের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইলেও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

বৃহস্পতিবার রুয়ান্ডায় কিগালি জেনোসাইড মেমোরিয়ালে দেয়া এক বক্তৃতায় গণহত্যা চালানো রুয়ান্ডার তৎকালীন সরকারকে সমর্থন দেওয়া ও গণহত্যার আশঙ্কা সংক্রান্ত সতর্কতা পাওয়া সত্ত্বেও ফ্রান্স তা উপেক্ষা করেছে বলে স্বীকার করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো।

বক্তৃতায় ম্যাক্রো বলেন, আজ এখানে দাঁড়িয়ে, মানবিকতা ও সম্মানের সঙ্গে আপনাদের পাশে থেকে আমি আমাদের দায় স্বীকার করতে এসেছি। আমি স্বীকার করছি গণহত্যার হুঁশিয়ারিতে কান দেয়নি প্যারিস। তবে ওই গণহত্যায় কোনো ধরনের সহায়তাও করেনি ফ্রান্স।

ম্যাক্রোই ফ্রান্সের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি ২০১০ সালের পর পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা সফর করছেন। দেশটিতে সংগঠিত ওই গণহত্যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্সের দায় নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। তবে এর আগে কখনো কোনো ফরাসি নেতা স্বীকার করে বক্তব্য দেয়নি।

১৯৯৪ সালে মাত্র একশ দিনের গৃহযুদ্ধে রুয়ান্ডার নৃতাত্ত্বিক তাতসি জনগোষ্ঠীর প্রায় আট লাখ মানুষ হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হন। দেশটির প্রায় ৮৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী হুতু হলেও দীর্ঘদিন ধরে দেশটি শাসন করেছে তাতসিরা। ১৯৫৯ সালে হুতুরা তাতসি রাজতন্ত্র উৎখাতের পর লাখ লাখ তাতসি প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়।

নির্বাসিত এসব তাতসিরা রুয়ান্ডার প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট (আরপিএফ) নামে বিদ্রোহী গ্রুপ গঠন করে ১৯৯০ সালে রুয়ান্ডায় আগ্রাসন শুরু করে। ১৯৯৩ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগ পর্যন্ত চলে এই আগ্রাসন।

১৯৯৪ সালের ৬ এপ্রিল রাতে রুয়ান্ডার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানা এবং বুরুন্দির প্রেসিডেন্ট সিপ্রিয়ান নাতিয়ামিরাকে বহনকারী একটি বিমান ভূপাতিত করা হলে এর সব আরোহী নিহত হন। এই দুই প্রেসিডেন্টই ছিলেন হুতু জনগোষ্ঠীর।

হুতুরা এই ঘটনার জন্য আরপিএফকে দায়ী করে আর শুরু করে সংঘবদ্ধ হত্যাকাণ্ড। তবে আরপিএফ’র দাবি গণহত্যার অজুহাত দাঁড় করাতেই হুতুরাই বিমানটি ভূপাতিত করে। ওই সময়ে রুয়ান্ডার হুতু সরকারের মিত্র ছিল ফ্রান্স। গণহত্যা শুরুর পর নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে বিশেষ বাহিনী পাঠায় প্যারিস। তবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এই গণহত্যা ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি তারা।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ