মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আল্লাহর বিধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এফাজ মোবারক।।

একটা রাষ্ট্র গড়ে ওঠে সম্পদ বণ্টনের উপর ভিত্তি করে। কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালিত হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে আধুনিক অর্থব্যবস্থা।

“আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম গত রোববার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ৭০০ কোটি মানুষের মধ্য মাত্র আটজনের হাতে যে পরিমাণ সম্পদ জমে উঠেছে, তা পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক (৩৬০ কোটির বেশি) মানুষের মোট সম্পদের সমান। বলা হচ্ছে, এই আট ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ ৪২ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের সমান।” (প্রথম আলো : ১৮ই জানুয়ারি : ২০১৭ইং)

এইসব ধনীদের এক একজন এক একটি রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করতে পারে। কিন্তু করে না। এতে সাধারণ জনগনের কষ্ট লাগাটাই স্বাভাবিক। নিজের যোগ্যতা বলে মানুষ নিজে যা অর্জন করে তা নিজের। এটা আমরা জানি। তবুও আমরা অসহায় দারিদ্র্যের মাঝে নিজের কিছু সম্পদ বিলিয়ে দিই, আত্মসুখের জন্য। আল্লাহর হুকুম পালন করার জন্য।

কুরআনের অমর বাণী— আল্লাহ তাঁর সকল দাসকে রুযীতে প্রাচুর্য দিলে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত;[১] কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণই দিয়ে থাকেন। তিনি তাঁর দাসদেরকে সম্যক জানেন এবং দেখেন। (আশ-শূরা; আয়াত: ২৭)

উক্ত আয়াত দ্বারা এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যদি আল্লাহ তা আলা পৃথিবীর সকল মানুষকে তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ সম্পদ প্রদান করতে তাহলে সবাই তা বিলাসিতা করতো। অন্যায়ভাবে ব্যবহার করতো। অর্থের কারণে আমরা অন্যেকে মেনে চলি। গরীবরা সাধারণত ধনীদের অনুগত হয়। এর মাধ্যমে সমাজ নির্ধারিত ধারায় পরিচালিত হয়।

“বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের ৭৩ কোটি ৪০ লাখ বা ১০ শতাংশ মানুষ আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন, যাঁদের দৈনিক আয় ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম।” (প্রথম আলো : ২১ শে জুলাই ২০২০ইং)

এটা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় পৃথিবীর সুষ্ঠুতা বজায় রাখতেই আল্লাহ তা’আলা মানুষের চাহিদার তুলনায় সম্পদের পরিমাণ কমিয়ে দেন। আল্লাহ তো মানুষ অন্তর দেখেন। কাউকে সম্পদ দিয়ে, কাউকে দারিদ্র্যতা দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। কে কতটুকু আল্লাহর হুকুম পালন করে— এটা জানার জন্য।

আজকের পৃথিবীতে এত অরাজকতার কারণ- মানুষ মানুষের প্রতি মানবতার অভাব। আর অর্থের প্রাচুর্যতা মানুষের ভেতর অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ, কৃপণতা ও বিলাসিতা সৃষ্টি করে। যা একজন মানুষকে হিংস্র করে তোলে। আর হিংস্রতা মানবিকতা, নৈতিকতা, পরস্পরের সহানুভূতিকে ভুলিয়ে দেয়।

ধনীরা দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে দিয়েছেন যাকাত, ফিতরার মতো বিধান। এছাড়াও অন্যের পাশে দাঁড়ালে সহায়তা করলে সওয়াব তো আছেই।

আল্লাহ মানুষের জীবনকে পরীক্ষার কেন্দ্র বানিয়ে দেন। কে ভালো করে আর কে মন্দ— এটা দেখার জন্য।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ