শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
তাওয়াফের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? ক্ষুধা-অপুষ্টিতে ৫১ শিশুর মৃত্যু, হামলায় প্রাণহানি আরও ৭০ দারুল মাআরিফের নতুন মহাপরিচালক আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলীল কামিল পরীক্ষায় বসেছেন ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুসলিম উম্মাহ এক যোগ্য সন্তানকে হারালো’ ‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির সালাহউদ্দিনের ভাবনা জাতিকে শঙ্কিত করেছে’  আল্লামা সুলতান যওক নদভীর  ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক প্রকাশ নদভী আমৃত্যু ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে কাজ করেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা নারী-পুরুষের জীবনব্যবস্থায় স্রষ্টার নির্ধারিত নীতিমালা অপরিহার্য লাখো মুমিনের গর্জনে কেঁপে উঠল সোহরাওয়ার্দীর বাতাস

যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, বন্যার আশঙ্কা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অতিবর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন শহর ও নদী পাড়ের মানুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও বিপৎসীমার ১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে নদী-তীরবর্তী অঞ্চল কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জেলার চৌহালী, শাহজাদপুর, কাজীপুর ও এনায়েতপুরে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। এতে বন্যার আশঙ্কা করছে শহরবাসী। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধসহ সব এলাকাতেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আরও দুই দিন এভাবেই পানি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এভাবেই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হচ্ছে। কিছু স্থানে নদী ভাঙন রয়েছে। তবে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। সেই সাথে ভাঙন রোধে ৩০ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও ৯৬ হাজার জিও ব্যাগ এর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ