সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০ চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ

ভারতের সংসদে বিজেপির কোনো মুসলিম প্রতিনিধি থাকছেন না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজ্যসভায় তিনজন মুসলিম সাংসদ ছিল বিজেপি-র। কাউকেই আর প্রার্থী করেনি দল। ফলে বিজেপি সংসদে মুসলিম-শূন্য হতে চলেছে।

ভারতের সংসদে বিজেপি-র সাকুল্যে তিনজন মুসলিম সাংসদ ছিলেন। তিনজনই রাজ্যসভার সদস্য। তিনজনেরই সাংসদ থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু মুখতার আব্বাস নাকভি, এম জে আকবর এবং সৈয়দ জাফর ইসলামকে আর মনোনয়ন দেয়নি বিজেপি। নাকভি আবার মোদী সরকারে সংখ্যালঘু বিষয়ক পূর্ণমন্ত্রী।

ফলে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সংসদে বিজেপি-র আর কোনো মুসলিম সদস্য থাকবেন না। গত লোকসভা নির্বাচনে ছয়জন মুসলিমকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কেউই জিততে পারেননি।

বাজপেয়ী যখন বিরোধী নেতা বা প্রধানমন্ত্রী তখন সিকান্দার বখত, শাহনাওয়াজ হুসেন এবং মুখতার আব্বাস নাকভিরা সাংসদ ছিলেন। মোদীর আমলে একসময় এম জে আকবর ও নাকভি কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন। মি টু-তে অভিযুক্ত আকবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তারপর থেকে নাকভিই ছিলেন মোদী মন্ত্রিসভার একমাত্র মুসলিম মুখ। এই তিন রাজ্যসভা সাংসদের সদস্য থাকার মেয়াদ জুন মাসে শেষ হচ্ছে। তাদের এবং মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অন্যদের আসনগুলিতে আগামী ১০ জুন নির্বাচন হবে।

বিজেপি ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় ২২জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তার মধ্যে কোনো মুসলিম প্রার্থী নেই। প্রশ্ন হলো, বিজেপি সংসদীয় দল কি মুসলিমহীন হয়ে যাবে? তিন সদস্যের পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এটাই হতে চলেছে।

তবে বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, নাকভি সম্ভবত উত্তরপ্রদেশের রামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

রামপুরের উপনির্বাচনে নাকভিকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। নাকভি আগেও রামপুর থেকে একাধিকবার লড়েছেন। কখনো জিতেছেন, কখনো হেরেছেন। যদি তাকে প্রার্থী করা হয় এবং যদি তিনি জেতেন, তাহলে বিজেপি-তে অন্তত একজন মুসলিম সাংসদ থাকবেন।

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী আবার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেয়ার সময় তার ঘনিষ্ঠ অনুগামীদেরই প্রাধান্য দিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ নেতাদের আমল দেননি। ফলে কাশ্মীরের নেতা গুলাম নবি আজাদ, হিমাচলের আনন্দ শর্মাকে রাজ্যসভার প্রার্থী করেনি কংগ্রেস। সোনিয়া প্রার্থী করেছেন পি চিদাম্বরম, মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সূরযেওয়ালা, বিবেক তনখা, রাজীব শুক্লা, রঞ্জিতা রঞ্জন, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেনের মতো নেহরু-গান্ধী পরিবারের অনুগত নেতাদের।

কংগ্রেস নেতারা এই তালিকা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। পবন খেরা টুইট করে বলেছেন, বোধহয় আমার তপস্যায় খামতি ছিল। তবে তারপর আরেকটি টুইট করে তিনি বলেছেন, স্বীকার করতেই হবে, কংগ্রেসই আমায় পরিচিতি দিয়েছে। রাজস্থানের বিধায়ক সিরোহী সানিয়াম লোধা বলেছেন, মরুরাজ্য থেকে কি একজন স্থানীয় নেতাকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা গেল না?

কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণ টুইট করে বলেছেন, সলমন খুরশিদ, তারিক আনোয়ার, গুলাম নবি আজাদদের শহিদ বানিয়ে দেয়া হলো। এভাবে প্রতিভাবান নেতাদের চেপে দিলে দলের পক্ষে তা আত্মঘাতী হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ