শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
যারা পালিয়ে গেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’ হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ: ধর্ম মন্ত্রণালয় নিজের অজান্তেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ভয়ঙ্কর দৃশ্য জুমার দিন যে আট আমল করবেন পাকিস্তানের ধাওয়ায় ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধানের চাকরি গেল আগামীকালের মহাসমাবেশে ট্রাফিক ও গাড়ি পার্কিং নির্দেশনা র-এর নথি ফাঁস! কাশ্মীর হামলায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ভারতে স্কুলের খাবারে সাপ, অসুস্থ শতাধিক শিশু ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে বন্যার পানি, নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় নদ-নদীর পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২০ হাজার মানুষ।

প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের। এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা।

অন্যদিকে পরপর দুই দফা বন্যার কবলে পড়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর সবুজপাড়া এলাকার কাওসার আলী বলেন, প্রথম দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি এখনও মেরামত করতে পারিনি। এর মধ্যেই আবারও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করেছে। খুব সমস্যায় আছি।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচরের আফসার বলেন, গত বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই চরের মানুষ। প্রত্যেকটি বাড়ির ঘরের চাল পর্যন্ত পানি উঠেছিল। পানি নেমে যাওয়ার তিন-চার দিনের মাথায় আবার পানি। হাতে কাজ নেই। বউ, বাচ্চা নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি।

সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নেই ধরলার অববাহিকায় অন্তত ৮ হাজার বেশি মানুষ দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পাঁচগাছী ও হলোখানা ইউনিয়নসহ ধরলা ও দুধকুমারের অববাহিকার ইউনিয়নগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকায় ২০ হাজার মানুষ নতুন করে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।

জেলা প্রশাসন জানায়, দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে আবারও বন্যা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামে ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভাটিতে পানি কম থাকায় নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ