মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ‘চের অ্যামি’ নামের কবুতর বাঁচিয়েছিলো ২০০ সৈন্যের জীবন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ঘটনাটি ঘটেছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। একদল সেনাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে উদ্ধার করেছে ‘চের অ্যামি’ নামের একটি কবুতর। এ সৈন্যদের নিক্ষেপ করা হয়েছিলো মৃত্যুর মুখে। তাদেরকে অপমান করে নাম রাখা হয়েছিলো ডানাওয়ালা ইঁদুর। অবশেষে মৃত্যুর পথযাত্রী এ সৈন্যদের জীবন বাঁচিয়েছিলো এ কবুতরটি।

ইতিহাসে ‘চের অ্যামি’ কিংবদন্তি হয়ে আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দুই শতাধিক সৈন্যের জীবন বাঁচিয়ে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে এ কবুতর।

আশ্চর্যজনকভাবেই সে এ সৈন্যদের বাঁচিয়েছিলো। যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি অবস্থা। কঠিন যুদ্ধ চলছে। চারদিক থেকে বোমাবৃষ্টি হচ্ছে। ঠিক তখন একটি পাহাড়ের পাদদেশে আটকা পড়ে মার্কিন সেনা বাহিনীর ৫০০ সেনা।

দিন শেষ ৫০০ সৈন্য থেকে অবশিষ্ট থাকে মাত্র ২০০। এদিকে অনবরত বোমা বর্ষণ চলছে। মার্কিন এ সেনাদের উপর শুধু জার্মানিরাই আক্রমণ করেনি। মার্কিন সেনারাও নিজেদের অজান্তে মোবা মারছিলো নিজেদের সেনাদের উপর। এ কঠিন মুহূর্তে কমান্ডার মেজর চার্লস হুইটলসি বেশ কয়েকটি কবুতর মারফত বার্তা পাঠান। শত্রু বাহিনী কবুতরগুলোকে গুলি করে মেরে ফেলে।

এ কবুতরগুলোর মাঝে ছিলো ‘চের অ্যামি’ নামের একটি কবুতর। কামন্ডার শেষ আশা নিয়ে এ কবুতরটির মাধ্যমে সাহায্যের জন্য একটি বার্তা পাঠান। ‘চের অ্যামি’ ছিলো তাদের শেষ অবলম্বন। কোনো রেডিও ফোন কিংবা তার সংযোগ ছিলো না সেসময়। ভরসা ছিলো একমাত্র কবুতর। বেশ কয়েকটি গুলি খেয়েও কবুতরটি উড়ে যায় মার্কিন ঘাটিতে। আর সাহয্য আবেদন করে তাদের কাছে।

মার্কিন বাহিনী তাদের ২০০ সৈন্যকে উদ্ধার করে। ৫০ দিনের মত এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে। ভয়াবহ এ যুদ্ধে প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন সেনা নিহত হয়।

জানা যায়, ‘চের অ্যামি’ সৈন্যদের বাঁচাতে বোমাবর্ষণ ও গুলিবৃষ্টির মধ্য দিয়ে আধা ঘণ্টা উড়ে গিয়েছিলো মার্কিন ঘাটিতে। তার পেটে ও পায়ে গুলি লাগে। যখন ‘চের অ্যামি’ মার্কিন ঘাটিতে পৌঁছে, তার একটি পা শরীরের সাথে ঝুলছিলো।

মার্কিন পত্রিকার বরাতে আরো জানা যায়, সেনারা ‘চের অ্যামি’র অনেক উন্নত চিকিৎসা করায়। তার হারানো পা প্রতিস্থাপন করে। ‘চের অ্যামি’ সেনাবাহিনীর থেকে সাহসিকতার জন্য একটি পদকও লাভ করে। তাকে বিশ্বযুদ্ধের বীর বলে ভূষিত করা হয়।

সাহসী এ কবুতরটি যুদ্ধের আঘাতের কারণে নানান রোগজটিলতায় এক বছরের মধ্যে মারা যায়। মার্কিন সেনাবাহিনী ওয়াশিংটন ডিসিতে এখনো ‘চের অ্যামি’র ভাস্কর্য সাজিয়ে রেখেছে। সময়ে সময়ে তাকে স্মরণ করে শ্রদ্ধাভরে। সূত্র: নিউজ ডটকম।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ