বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

‘উলামায়ে কেরাম তাবলিগ থেকে দূরে থাকলে দীনের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী
মুহতামিম, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর
সদস্য, হাইয়াতুল উলইয়া ও সহ সভাপতি, বেফাক

প্রতিবেদন জামিল আহমদ।।।।

তাবলিগ জামাত বিশ্বব্যাপী কাজ করছে, এর দ্বারা দীনের অনেক উপকার হচ্ছে। অনেক অমুসলিম মুসলমান হচ্ছে। কিন্তু অনেক মুসলমানরা শুধু নামেই মুসলমান হচ্ছে। ইলমের সঙ্গে দুরত্ব তৈরী হয়ে যাচ্ছে। আলেমদের থেকে দুরত্ব তৈরী হয়ে যাচ্ছে। এটা ধ্বংসের আলামত। এজন্য এসব বিষয়ে তাবলিগের মুরব্বীদের আগে সটেষ্ট হতে হবে। এবং এই ব্যাপারে সর্তক থাকার পাশাপশি এর উত্তরণের উপায় বের করতে হবে। তাহলে এসব দূর হবে। অনেক তাবলীগিরা মনে করেন যে, আলেম হলে কি লাভ হবে? চিল্লা না দিলে আলেম হয়েও কোন লাভ নেই। অথচ তাবলিগের উদ্দেশ্যে এটাই ছিল যে, বান্দাকে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া। বান্দার সর্ম্পককে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে গাঢ় করে দেওয়া।
যখন খাঁটি মুরব্বীরা ছিলেন তখন তাবলিগ জামাত খুবই সফলতার সাথে এগিয়েছে। অনেক গোমরাহ মানুষকে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, পরবর্তীতে যারা আমীর হয়েছেন তাদের কাছে আলেমদের কদর ছিল না। এর প্রভাবে ধীরে ধীরে তাবলিগ জামাত এই পর্যায়ে আসছে। আমার মতে, বর্তমানে তাবলীগে যারা উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে আছে তারা ছাড়া যারা আছে তারা খাাঁটি তাবলীগি বলা ঠিক না।

যখন কাকরাইলে তাবলিগের ইজতেমা হতো, (আমার সন মনে নেই) তখন সদর সাহেব হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির ও হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি একসাথে ইজতেমায় গেলেন। সাথে আমিও ছিলাম। তখন ইজতেমার বয়ান করতেছিলেন হযরত মাওলানা ইউসুফ ছাব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, আমাদেরকে আসতে দেখে তিনি বয়ান বন্ধ করে ইস্তেকবালের জন্য মঞ্চ থেকে নেমে স্টেইজের পাশে দাড়ালেন। এবং হুজুরদের মোসাহাফা করার বয়ান করতে অনুসরণ করলেন। তখন সদর সাহেব হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির ও হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বয়ান করতে অপারগতা স্বীকার করেন। এবং সদর সাহেব হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমরা আসছি বয়ান শুনতে, আমলে জুড়ে থাকতে। আপনারা যারা মুরব্বী আছেন তারা বয়ান করবেন। আমরা আছি।

এরপর আজ থেকে ৪০ বছর আগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে তৎতকালীন তাবলিগ জামাতের আমীর ছিলেন মাওলানা এনামুল হাসান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। তখন ইজতেমার ময়দানে বরেণ্য বুযুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সাথে আমরা কয়েকজন গেলাম। সেখানে মাওলানা এনামুল হাসান ও হাফেজ্জী হুজুর মধ্যে অনেক কথা হয়। তার মধ্যে হাফেজ্জী হুজুর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ!

তাবলিগ জামাত দুনিয়াতে অনেক ভাল করে যাচ্ছে। অনেক জরুরী কাজ করছে কিন্তু এই জামাতের মধ্যে দুইটা রোগ ঢুকে গেছে। এই রোগগুলো দূর না করলে ভবিষ্যতে এখান থেকে ফেতনার সৃষ্টি হবে। একটা রোগ হচ্ছে, গুলু’। গুলু’ হচ্ছে, বাড়াবাড়ি করা, দ্বীনি কাজ থাকলে একমাত্র দ্বীনি কাজ হচ্ছে তাবলিগ করা।

কিন্তু মাদরাসার খেদমতসহ অন্যান্য দ্বীনি কাজগুলো দ্বীনি কাজ বলেন মনে না করা। এজন্য অনেক তাবলীগি আলেমদেরকে বলেন আল্লাহর রাস্তায় বের হন। অপরটা হচ্ছে ‘ওলু’। ‘ওলু’ হলো- এর চেয়ে বড় আর কোন কাজ নাই। অর্থাৎ তাবলিগের চেয়ে বড় কোন কাজ নাই।’ তথন মাওলানা এনামুল হাসান সাহেব বলেছিলেন, রোগ থেকে বাচতে এবং ভবিষ্যতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাচতে উলামায়ে কেরামগণকে এগিয়ে আসতে হবে। উলামায়ে কেরামগণের উচিত হলো- সময় বের করে তাবলিগ কিছু সময় দেওয়া। এতে উভয়ে উপকৃত হতে পারব। আর যদি উলামায়ে কেরামগণ একেবারেই দূরে থাকেন তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। উলামায়ে কেরামগণ অনেক বড় খেদমত করছেন এরপর ফাকে ফাকে তাবলিগের কাজে জড়ালে ভালো হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ