মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে

নারীদের পর্দার বিষয়ে মুফতি তাকি উসমানির মূল্যবান নসিহা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহিন মিয়া।।

হে নারী! তোমরা একথা ভেবো না যে, পর্দা তো আমাদের জন্য এক আপদ। বরং জেনে রেখো! নারী জন্মের স্বাভাবিক কথাই হচ্ছে পর্দা বা হিযাব। ‘আওরাত’ নারী শব্দের অর্থ হচ্ছে- গোপনীয় বস্ত বা বিষয়। তাই পর্দা নারী জাতির জন্য এক প্রাকৃতিক বিষয়। সুতরাং যদি নারী-প্রকৃতির এই স্বাভাবিক নিয়মের বিকৃতি ঘটে, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা নেই। যে প্রশান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা পর্দার ভিতর রয়েছে, তার এক বিন্দুও উচ্ছৃঙ্খল দেহ-প্রদর্শনীর মাঝে নেই। তাই পর্দা নারীর আত্বসম্ভ্রমবোধের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মনে হচ্ছে যেন হুযুর সা.-এর অন্তদৃষ্টি আজকের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছিল। তিনি বলেছিলেন, কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে এমন কিছু ‘নারী’ দেখা যাবে, যাদের চুল হবে ক্ষীণকায় উটের পিঠের হাড্ডিসদৃশ। চুলের ফ্যাশন উটের পিঠের হাড্ডিসদৃশ উঁচু হওয়ার কথা মহানবী সা.-এর যুগে কল্পনাও করা যেত না। অথচ আধুনিক যুগের ফ্যাশন দেখুন! ঠিক যেন তেমনই চুল নারীরা রাখাছে যেমনটা মহানবী সা. বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, যে সকল নারী দৃশ্যত পোশাক পরিহিতা হবে, কিন্ত সে পোশাক এমন যে তার মাধ্যমে সতরের উদ্দশ্য অর্জিত হয় না। কেননা, সে পোশাক এত বেশি পাতলা বা আঁটসাটঁ, যার ফলে দেহের কাঠামো, এমনকি অন্তর্বাস পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়, এসব মূলত শালীনতাবোধ নিঃশেষ হওয়ারই ফলাফল। ইতঃপূর্বে নারীরা এসব পোশাক পড়বে বলে কল্পনাও করা যেত না। তাদের অন্তরে জাগ্রত ছিল আত্বসম্ভ্রমবোধ। তাদের মন-মস্তিষ্ক এরুপ পোশাক পড়তে সায় দিত না। অথচ আজকের নারীরা পরছে সংক্ষিপ্ত বোকখোলা, বাহুখোলা বড় গলার পোশাক! এ কেমন পোশাক! পোশাক তো সতর ঢাকার জন্য ছিল। ছিল নারী জন্মের স্বার্থকতাকে আরও সার্থক করে তোলার জন্যে! অথচ আজ সে পোশাক সতর ঢাকার স্থলে দেহপ্রদর্শনীর কজেই ব্যবহার করা হচ্ছে!!

আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে অশালীন ‍দৃশ্য ওসব বাড়িতেও দেখা যায়, যারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি করে। যেসব বাড়ির পুরুষরা মসজিদের প্রথম কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে; তাদের বিয়ের কোনো এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ‍দেখুন, সেখানে কী হচ্ছে! বিয়ে বাড়িতে নারী-পুরৃুষের অবাধ মেলামেশার কথা এক সময় ভাবাও যেত না।

অথচ বর্তমানে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণ দাওয়াতের সয়লাব চলছে। নারীরাও আজ অশালীন অঙ্গভঙ্গি নিয়ে, প্রসাধনী মেখে, সাজ-সজ্জায় সজ্জিাঁ হয়ে নির্দ্ধিধায় ওসব দাওয়াতে অংশ নিচ্ছে। যেখানে না ভাবা হচ্ছে পর্দার কথা! আর না তোয়াক্কা করা হচ্ছে লাজ-শরমের। সুত্র: ইসলাহী খুতুবাহ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ